বিজেপির হাত থেকে জমি বাঁচানোর মরিয়া লড়াই বামেদের

পঞ্চায়েতে বামেরা লড়াই না দিতে পারলে, ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।       

Updated By: Apr 6, 2018, 09:31 PM IST
বিজেপির হাত থেকে জমি বাঁচানোর মরিয়া লড়াই বামেদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র পেশ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল-বিজেপি লড়াই দেখছে রাজ্য রাজনীতি। বামেরা যেন অপাংক্তেয় হয়ে পড়ছিল, আর তাই শুক্রবার থেকে ময়দানে নামল বামফ্রন্ট। পরিসংখ্যানও বলছে, এখনও পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধীদের মধ্যে অনেকটাই গিয়েছে বিজেপি। তবে গেরুয়া ব্রিগেডকে খোলা মাঠ ছেড়ে দিতে নারাজ বামেরা। এদিন কমিশনের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বাম নেতৃত্ব। 

পঞ্চায়েত ভোটের পরিস্থিতি দ্রুত না বদলালে পঞ্চাশ শতাংশ আসনে প্রার্থীই দেওয়া যাবে না। এমনই হিসেব কষেছে আলিমুদ্দিন। লড়াইয়ে টিকে থাকতে বিকল্প একাধিক কৌশলের কথা ভাবা হচ্ছে।  পঞ্চায়েত ভোটে কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকেই। এই দাবিতে দিনভর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে বামফ্রন্ট। কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি অবশ্যই পাল্টা লড়াইয়ের কৌশল। কিন্তু, তা কি যথেষ্ট? এখন বামেদের সব হিসেবই এলোমেলো হয়ে গেছে। রাজ্যে বিরোধী পরিসরে ভাগ বসিয়েছে বিজেপি। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে অনেকটাই ভোট বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এই প্রেক্ষাপটে পঞ্চায়েতে বামেরা লড়াই না দিতে পারলে, ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।       

হিসেব ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে ৭৫% আসনে প্রার্থী দেওয়া যেত। ঐক্যবদ্ধ লড়াই তুলে ধরতে সব বাম দলের একযোগে লড়ার কথা ভাবা হয়। বাকি আসনগুলিতে অঘোষিতভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হত। এখন পরিস্থিতি আমূল ঘুরে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন দলের প্রথম সারির নেতারা। বামেদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে ভোট বয়কটের পথেই হাঁটা উচিত। কিন্তু এই অবস্থায় ময়দান ছাড়লে তা যে বিজেপির পক্ষে সুবিধাজনক হয়ে যাবে তা বিলক্ষণ বোঝেন বাম নেতারা। তাই একদিকে মরিয়াভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় জেগে থাকার চেষ্টা করছে সিপিএম। 

আরও পড়ুন- শাসক দলকে চাপে রাখতে আইনে পথের সঙ্গে পাল্টা মারের কৌশল বিজেপির

.