আদালতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলল কমিশন
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য ও কমিশনের সংঘাতের জল ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে আদালতে। এবার শুরু আইনি যুদ্ধ। আজ হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে, কমিশনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সমরাদিত্য পাল। এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ উঠে আসে তাঁর আবেদনে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তথ্য গোপনের অভিযোগ।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য ও কমিশনের সংঘাতের জল ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে আদালতে। এবার শুরু আইনি যুদ্ধ। আজ হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে, কমিশনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সমরাদিত্য পাল। এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ উঠে আসে তাঁর আবেদনে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তথ্য গোপনের অভিযোগ। পাশাপাশি জরুরি তথ্য না জানানোর অভিযোগও উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে বারবার চিঠি দেওয়ার পরেও কোনও উত্তর দেয়নি রাজ্য সরকার। কিছু উত্তর মিললেও তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল না বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে কমিশনের দাবি, জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছেন, নিরাপত্তা সম্পর্কে রাজ্যের দেওয়া তথ্য এবং আদতে বাহিনী যা আছে, তাতে বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেইকারণেই সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের আবেদন জানান কমিশনের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল। মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে কমিশনের এই মামলায় পক্ষ হতে চেয়েছে বামেরাও।
রাজ্য সরকার যে ভাবে একতরফা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলার আবেদন দাখিল করেন কমিশনের সচিব তাপস রায়। আবেদনে রাজ্য সরকারে একতরফাভাবে বিজ্ঞপ্তির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেল কমিশন। পাশপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনের ৪২ ধারা এবং রাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ৮ নম্বর ধারা বাতিলের আবেদন এবং নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবিও করা হয় আবেদনে।
নির্বাচন কমিশনের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার শুরু হয় শুনানি। এদিনের শুনানিতে কমিশনরে পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সমরাদিত্য পাল। এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ উঠে আসে তাঁর সওয়ালে।
তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তথ্য গোপনের অভিযোগ। পাশাপাশি জরুরি তথ্য না জানানোর অভিযোগও উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে বারবার চিঠি দেওয়ার পরেও কোনও উত্তর দেয়নি রাজ্য সরকার। কিছু উত্তর মিললেও তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল না বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে কমিশনের দাবি, জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছেন, নিরাপত্তা সম্পর্কে রাজ্যের দেওয়া তথ্য এবং আদতে বাহিনী যা আছে, তাতে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের আবেদনও জানন কমিশনের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল। নির্বাচন কমিশন বনাম রাজ্য সরকার। দীর্ঘমেয়াদী আইনিযুদ্ধে এখন রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন কি শীতঘুমে? আশঙ্কা বিভিন্নমহলে। মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে কমিশনের এই মামলায় পক্ষ হিসেবে যোগ দিতে চেয়েছে বামেরাও। তবে শুধুই আইনি যুদ্ধ নয়। কমিশনকে সর্বাত্মক আক্রমণে কোনও কসুর রাখতে নারজ শাসকদল। কমিশনের বিরুদ্ধে আইনিযুদ্ধ, ধর্না তে ছিলই। মঙ্গলবার সরাসরি আক্রমণের নিশানায় ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেও। গাড়িতে অশোকস্তম্ভ ব্যবহারের অভিযোগে সোমবার তাঁর নামে শেক্সপিয়র থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার এই মামলায় তদন্তের অনুমতি দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।