শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: বিধানসভায় রাজ্যপালের ঢোকার গেট বন্ধ। অধিবেশন কক্ষ, গ্রন্থাগার, স্পিকারের অফিস তালা। স্বাগত জানাতে নেই কেউ। ফাঁকা বিধানসভা ঘুরে দেখে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল।  তাঁর আক্ষেপ,''আমার অন্তর রক্তাক্ত।'' পাল্টা রাজ্যপালকে চিড়িয়াখানায় জনসংযোগের পরামর্শ দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অধিবেশন চলছে না। রাজ্যপাল যেন না আসেন। বুধবার সন্ধেয় স্পিকারের অফিস থেকে রাজভবনে বার্তা যায়। রাজভবন জানিয়ে দেয়, রাজ্যপাল অনড়। সেইমতো, বৃহস্পতিবার সকালেই বিধানসভায় পৌছে যান জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপাল মিনিট পনেরো দাঁড়িয়ে থাকলেও এই গেট খোলেনি। বন্ধ গেটের সামনেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ''আজকের ঘটনার লজ্জা আমার নয়, লজ্জা গোটা দেশের, এ লজ্জা গণতন্ত্রের।'' সবার জন্য বরাদ্দ দু-নম্বর গেট দিয়ে বিধানসভায় ঢোকেন রাজ্যপাল। দেহরক্ষী বাদে তাঁর সহকারী, রাজভবনের ক্যামেরাম্যান, কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।  মিনিট ২০ কার্যত একা বিধানসভা ঘোরেন রাজ্যপাল। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিধানসভার স্পিকার, সচিব কেউই ছিলেন না। তালাবন্ধ অধিবেশন কক্ষ, গ্রন্থাগার, স্পিকারের অফিস দেখেই ফিরে আসতে বাধ্য হন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।


রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করলেন শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,''রাজ্যপাল সব জায়গায় যাচ্ছেন গিয়ে ছবি তুলছেন। আমাদের দেশে এত রাজ্যপাল আছে তাঁরা তো করছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, মিটিং নেই জানানো হয়েছিল। বিধানসভা চলার সময় আসতে পারতেন। দর্শকাসনে বসে দেখতে পারতেন রাজ্যপাল। সত্যিই গনতন্ত্র চাইলে বিলগুলিতে অনুমোদন দিন। উনি সাংবিধানিক প্রধান।। সাংবিধানিক সঙ্কট কোথাও হয়েছে নাকি?'' এরপরই মহাসচিবের কটাক্ষ, ওনার দেখা উচিত চিড়িয়াখানা। সেখানে জনসংযোগ হতে পারে। 


ইনফোকমের সভায় মমতা বলেন, ''মহারাষ্ট্রের চেয়ে একশো গুণ বেশি সইতে হচ্ছে। রোজই লেগে রয়েছে। দুঃখের সঙ্গে বলছি, বিলে অনুমতি না দেওয়ায় বিধানসভা মুলতবি করতে হয়েছে। তাও বিলগুলি চূড়ান্ত নয়। সেগুলি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হওয়ার কথা।''



বিধায়ক-মন্ত্রীরা কেউ না থাকলেও শুধুমাত্র ছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। এ দিন বিধানসভায় রাজ্যপালের সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণের জন্য দেখা করেন তিনি। 


আরও পড়ুন- মাঝারি শিল্পে বাংলা এক নম্বর, দেশে বেকারত্ব বাড়লেও রাজ্যে কমেছে ৪০%: মমতা