মহারাষ্ট্রের চেয়ে একশো গুণ বেশি সইতে হচ্ছে, লড়াই করব, রাজ্যপালকে বিঁধলেন মমতা
সকালে বিধানসভায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আরও একটা ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজবাসী।
মৌমিতা চক্রবর্তী: রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতে ইনফোকমের মঞ্চ থেকে নাম না করে জগদীপ ধনখড়কে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েও তুললেন প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,''মহারাষ্ট্রের চেয়েও একশো গুণ বেশি সইতে হচ্ছে তাঁকে। রোজই হচ্ছে।''
সকালে বিধানসভায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আরও একটা ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজবাসী। বিধানসভায় গিয়ে বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন রাজ্যপাল। তারপর ভিতরে ঢুকলেও কারও সাক্ষাত্ পাননি। ওই প্রসঙ্গের উল্লেখ না করে মমতা বলেন,''মহারাষ্ট্রের চেয়ে একশো গুণ বেশি সইতে হচ্ছে। রোজই লেগে রয়েছে।''
রাজ্যপাল বিলে সই না করায় আলোচনা সম্ভব নয়। নজিরবিহীনভাবে বিধানসভার অধিবেশন দু'দিনের জন্য মুলতবি করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিল সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল তথ্য। তবে সেই তথ্য মেলেনি। সে কারণে বিলে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল। খোদ জগদীপ ধনখড় টুইট করেন,''রাজ্যপাল হিসেবে আমাকে সংবিধানের অনুসরণ করতে আমি বাধ্য। চোখ বেঁধে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমি রাবার স্টাম্প বা পোস্ট অফিসও নই। বিলম্ব না করে বিলের খুঁটিনাটি দেখা আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব।''
As Governor I follow the script and tune of the Constitution and cannot blindly take a call. I am neither a rubber-stamp nor a post office. I am obligated to scrutinise the bills in the light of the Constitution and act without delay. Concerned at delay by government on this.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 4, 2019
রাজ্যপালকে এদিন জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,''দুঃখের সঙ্গে বলছি, বিলে অনুমতি না দেওয়ায় বিধানসভা মুলতবি করতে হয়েছে। তাও বিলগুলি চূড়ান্ত নয়। সেগুলি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হওয়ার কথা।'' তবে এনিয়ে তিনি ভাবিত নন বলে মমতার হুঁশিয়ারি, আমি কিছু মনে করছি না। আমরা লড়াই করব। যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই হোক।
বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে এদিন রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়েই তাঁকে দোষারোপ করলেন ধনখড়। ঘটনাকে 'অপমান জনক' আখ্যা দিয়ে এদিন তিনি সমস্ত দায় চাপালেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপরই। এমনকী ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা উচিৎ বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন,"গণতন্ত্র এভাবে চলতে পারে না স্পিকারকে আগে থেকে জানানো সত্বেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমার হৃদয়ে আজ রক্তাক্ত হয়েছে। ইতিহাসে কোনওদিন এমন হয়নি, আমি অবাক হয়েছি।"
আরও পড়ুন- বাড়িতে টাকা রাখলে আসছে ইডি-সিবিআই, ব্যাঙ্কে গ্যারান্টি নেই: মমতা