শিল্প দফতর খুইয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বললেন মানুষই তাঁর কাজের বিচার করবেন
শিল্প দফতর খোয়ানোর পরই ক্ষোভ উগরে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দফতরের কাজের খতিয়ান দিয়ে বললেন, "মানুষই তাঁর বিচার করবে। আজই হলদিয়া পেট্রোকেমের চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে ছেড়ে দেবেন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের পদও। গত আড়াই বছরে একাধিকবার শিল্প দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেপ্টেম্বর ও গত বিশে ডিসেম্বর টাউন হলে মন্ত্রীদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন তিনি।
শিল্প দফতর খোয়ানোর পরই ক্ষোভ উগরে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দফতরের কাজের খতিয়ান দিয়ে বললেন, "মানুষই তাঁর বিচার করবে। আজই হলদিয়া পেট্রোকেমের চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে ছেড়ে দেবেন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের পদও। গত আড়াই বছরে একাধিকবার শিল্প দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেপ্টেম্বর ও গত বিশে ডিসেম্বর টাউন হলে মন্ত্রীদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বরের বৈঠকে পার্থবাবুকে রীতিমতো ধমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একাধিক শিল্পগোষ্ঠী জমি চেয়েও জমি পাচ্ছে না। কেন মাসের পর মাস জমি পাচ্ছে না তারা? এর ফলে তো বিনিয়োগ আটকে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার, শিল্প দফতর খোয়ানোর পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই রাজভবন থেকে নবান্নে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যোগ দেন শিল্প সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে। বৈঠকের পর আচমকাই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। নিজেই পেশ করেন নিজের রিপোর্ট কার্ড। বলেন,
রঘুনাথপুরে ২৬৯৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য ইউনিভার্সাল সাকসেসকে ৩৫০ একর জমির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ায় শোভা ইস্পাত লিমিটেডের প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে ৫৯৭ একর জমি। হাওড়ায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে লজিস্টিক হাবের জন্য প্যাটন গোষ্ঠীকে ৫৬ একর জমি দেওয়া হয়েছে বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিল্পের জন্য গ্রেট ইস্টার্ন কর্পোরেশন বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় জমি চেয়েছিল। তাদেরও জমি দেওয়া হচ্ছে। গত আড়াই বছরে রাজ্যে ৩৬৮১ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে বলেও দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিল্পমহলের জমি না পাওয়া ও রাজ্যে লগ্নি না আসা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই দুটি অভিযোগেরই জবাব দিলেন পার্থবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ না খুলেও নিজের ক্ষোভের কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
পারফরম্যান্সের বিচারে নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর কাজের চাপ কমাতেই শিল্প দফতর তাঁর হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার, এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব পার্থবাবুর হাতেই থাকছে। প্রশ্ন উঠছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যদি নাই হবে, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিয়ে নিয়ে কেন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে তাঁকে রেখে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?