তন্ময় প্রামাণিক: পা ভেঙেছে। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল। সেই অবস্থাতেই হুইলচেয়ার ঠেলছেন রোগী। অন্যদিকে কর্মী নেই। কোলে রোগীকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পরিজনরাই। হেলদোলই নেই হাসপাতালের কর্মীদের। একাধিক নির্দেশিকা, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও অমানবিক ছবিটা যেন কিছুতেই বদলাচ্ছে না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। একই দিনে পরপর দুটো দৃশ্য আবারও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সাধারণ মানুষের কপালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিত্র ১: পা ভেঙে আনোয়ার হোসেন চিকিৎসাধীন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। বাঁ হাতে স্যালাইনের ও ইনজেকশনের চ্যানেল। সেই হাতেই হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন। দেখা পাননি কোনও ট্রলিবয়ের, মেলেনি স্ট্রেচারও।


আরও পড়ুন: বিকট শব্দ! হাসপাতালের জানলার কাঁচ ভেঙে ঝাঁপ রোগীর


চিত্র ২: অন্যদিকে আরও এক দৃশ্য, ইমারজেন্সি বিল্ডিং-এ ভরতি রয়েছেন গুরুতর অসুস্থ এক বৃদ্ধা। এমআরআই সেন্টারে স্ক্যান করার প্রয়োজন। তবে পাওয়া যায়নি কোনও স্ট্রেচার, ট্রলি কিংবা হুইলচেয়ারও। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেলেনি হাসপাতাল কর্মীও। পরিবারের লোকেরা বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের বেড থেকে কোলে করে তাঁদের আত্মীয়াকে নিয়ে যাচ্ছেন এমআরআই করাতে। জানা গিয়েছে, তিনি শোভাবাজারের বাসিন্দা। বয়স প্রায় ৭০।


শ্বাসকষ্ট, তীব্র মাথায় যন্ত্রণা, বমি ও ডায়রিয়া নিয়ে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। পরিবারের অভিযোগ কোনও সহায়তাই মেলেনি কর্মীদের কাছ থেকে। স্বামী, সন্তানের কোলেই এমার্জেন্সিতে যান বৃদ্ধা। সেখান থেকে ফের কোলে নিয়ে সিটি-স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিনি ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ভরতি। যদিও 


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ দুই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। সূত্রের খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। কেন কোনও ট্রলি বা স্ট্রেচার পাওয়া যায়নি, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।