`তোমার ত্বকের নীচে তৃণবর্ণ দেশ শুয়ে আছে`

চলে গেলেন কলকাতার মায়াকোভস্কি, কবি জয়দেব বসু। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন জয়দেব। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯। এ দিন শোকজ্ঞাপন করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ-সহ জয়দেবের বহু গুণমুগ্ধ এবং অনুরাগী।

Updated By: Feb 23, 2012, 09:32 PM IST

চলে গেলেন কলকাতার মায়াকোভস্কি, কবি জয়দেব বসু। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন জয়দেব। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯। এ দিন শোকজ্ঞাপন করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ-সহ জয়দেবের বহু গুণমুগ্ধ এবং অনুরাগী।
শুক্রবার তাঁর মরদেহ সকাল ১০টায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে `নন্দন` পত্রিকার দফতর হয়ে বেলা ১১টায় বাংলা আকাদেমিতে পৌঁছবে। সেখান থেকে শেষযাত্রা যাবে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। সেখানেই তাঁর দেহ দান করা হবে।
জয়দেবের জন্ম উত্তর কলকাতার দমদমে ১৯৬২ সালের ১২ মে। শৈশবের অনেকখানি উত্তরবঙ্গে কাটিয়ে ছাত্রজীবন শুরু করেন বিশ্বভারতীতে। ১৯৮০-তে বাংলা নিয়ে পড়তে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। বামপন্থার সঙ্গে প্রথম প্রণয় সেখানেই। ১৯৮০-র ডিসেম্বরে এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। সিপিআইএমের সদস্য হন এর কিছুদিন পরে। স্নাতকোত্তর উপাধি পান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
কর্মজীবনের শুরু ১৯৮৬-তে, গণশক্তি পত্রিকায়। পরে অধ্যাপনাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। পড়াতেন দমদম মতিঝিল কলেজে। যুক্ত ছিলেন `নন্দন` পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গেও।
তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ `ভ্রমণকাহিনি`। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশিত হয় `মেঘদূত`। এ ছাড়াও `জনগণতান্ত্রিক কবিতার ইস্তেহার`, `জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়`, `ভবিষ্যৎ`, `আর এস চতুর্দশপদী`, `সাইকোপ্যাথ` তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবিতা ছাড়া `উত্তরযুগ` ও `লুপ্ত নাসপাতির গন্ধ` নামে তিনি দু`টি উপন্যাসও লিখেছিলেন। পাশাপাশি নিয়মিত গদ্য-প্রবন্ধও লিখে গিয়েছেন। তার সংখ্যাও কম নয়।
কবিতার জন্য তিনি কবি সুকান্ত পুরস্কার ও শক্তি চট্টোপাধ্যায় পুরস্কারে সম্মানিত হন।

.