পুকুর বিরোধি দলের সমর্থকের, তাই বিষ ঢেলে মাছ মেরে ক্ষতি, অভিযুক্ত শাসক দল
বিরোধী দল করার অপরাধে এক বিধবা মহিলার পুকুরে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পূর্ণিমা দাস নামে ওই মহিলার অভিযোগ, এবারই প্রথম নয় তোলা না পেয়ে ২০১১ সাল থেকে মোট তিন বার ওই পুকুরে বিষ ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনায় দুই তৃণমূল নেতা সহ ছ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। কসবার কমলা পার্ক এলাকায় আড়াই বিঘা এই পুকুরটির দেখভাল করতেন অশোক দাস।
বিরোধী দল করার অপরাধে এক বিধবা মহিলার পুকুরে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পূর্ণিমা দাস নামে ওই মহিলার অভিযোগ, এবারই প্রথম নয় তোলা না পেয়ে ২০১১ সাল থেকে মোট তিন বার ওই পুকুরে বিষ ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনায় দুই তৃণমূল নেতা সহ ছ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। কসবার কমলা পার্ক এলাকায় আড়াই বিঘা এই পুকুরটির দেখভাল করতেন অশোক দাস।
২০০৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই পুকুরটির দেখভাল শুরু করেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা দাস। এই পুকুরে মাছ চাষ করেই সংসার চালান তিনি। অভিযোগ, কালীপুজো উপলক্ষ্যে ওই মহিলার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা চায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এত টাকা দিতে না পারলেও চার হাজার টাকা মিটিয়ে দেন ওই মহিলা। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ওই মহিলাকে সাত দিন সময় দেন তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ সাত দিনেও টাকা দিতে না পারায়, আড়াই বিঘের পুকুরে ঢেলে দেওয়া হয় বিষ।
এবারই প্রথম নয় এর আগেও তোলা না পেয়ে দু বার পুকুরে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পূর্ণিমা দাসের। আগাগোড়াই এলাকায় সিপিআইএম সমর্থক বলে পরিচিত পূর্ণিমা দাস। তাঁর অভিযোগ, সিপিআইএম দলকে সমর্থন করার অপরাধেই বারবার তাঁকে হেনস্থা করছে তৃণমূল।
পুকুরের জলে বিষ ঢেলে দেওয়ায় মারা গেছে সমস্ত মাছ। বর্তমানে কীভাবে সংসার চলবে সেই নিয়েই আশঙ্কায় রয়েছেন ওই মহিলা। ঘটনার পরই তৃণমূলের যুব সভাপতি তারক সরকার, ব্লক সভাপতি জয়ন্ত মুখার্জি সহ ছ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পূর্ণিমা দাস।