'ছিনতাইবাজ' পুলিস

বেআইনিভাবে টাকা বাজেয়াপ্ত ও তা হাতানোর  অভিযোগে গ্রেফতার বিধাননগর GRP-র ওসি এবং কনস্টেবল। বিধাননগর GRP থেকে উদ্ধার হয়েছে ছলক্ষ টাকা। গোটা ঘটনায়  রেলের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন  ধৃত  ওসির পরিবার।

Updated By: Sep 26, 2015, 06:09 PM IST

ব্যুরো: বেআইনিভাবে টাকা বাজেয়াপ্ত ও তা হাতানোর  অভিযোগে গ্রেফতার বিধাননগর GRP-র ওসি এবং কনস্টেবল। বিধাননগর GRP থেকে উদ্ধার হয়েছে ছলক্ষ টাকা। গোটা ঘটনায়  রেলের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন  ধৃত  ওসির পরিবার।

বেআইনি ভাবে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা বাজেয়াপ্ত করা এবং সেই টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেফতার বিধাননগর জিআরপির ওসি ও এক কনস্টেবল। কোচবিহারের এক ব্যবসায়ী ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছয় লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন এক কনস্টেবল। বাজেয়াপ্ত করা টাকা রাখা ছিল বিধাননগর জিআরপির ওসি শাহনওয়াজ মণ্ডলের কাছে। ঘটনার পর দিন ব্যবসায়ীর পরিবার বিধাননগর জিআরপিতে অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু প্রতারিত ব্যবসায়ী না আসতে পারায় অভিযোগ নেয়নি রেলপুলিস। ব্যবসায়ীর পরিবার রেলপুলিসের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরই তদন্ত শুরু হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত কনস্টেবল ও ওসিকে। ওসি শাহনওয়াজ মণ্ডলকে দশ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।এদিকে এই ঘটনার পর পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে ধৃত ওসির পরিবার। তাঁদের দাবি, বেআইনিভাবে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা কী করা হবে তা জানতে চেয়ে ঘটনার দিনই পুলিসের বড়কর্তাদের ফোন করেছিলেন শাহনওয়াজ। রেল পুলিসের কর্তাদের নির্দেশেই ওই টাকা রেখে দেন তিনি। এখন তাঁকেই ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ক্লোজ করা হয়েছে শিয়ালদা জিআরপির ওসি চন্দন দাসকেও। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

এমাসের ৭ তারিখ। কলকাতায় সোনা কিনতে গিয়েছিলেন কোচবিহারের দোকানের কর্মচারী বিমল সূত্রধর। সঙ্গে ছিল কুড়ি লক্ষ টাকা। কাজ না হওয়ায় ফিরছিলেন। অভিযোগ বিধাননগর স্টেশনে তাঁর কাছে থেকে ষোললক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এক কনস্টেবল।

কোচবিহার ফিরেই মালিক দীপক দে-কে গোটা ঘটনা জানান বিমল।পরেরদিনই বিধাননগর GRP-তে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু, অভিযোগ মানতেই চায়নি GRP।

নিরুপায় দীপক এবার যোগাযোগ করেন রেল পুলিসের আইজির সঙ্গে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। বিধাননগর GRP থেকে উদ্ধার হয় ছয় লক্ষ টাকা। ২৪ তারিখ  গ্রেফতার করা হয়  অভিযুক্ত কনস্টেবল ও বিধননগরের GRP-র ওসি শাহনওয়াজ মণ্ডলকে। ক্লোজ করা হয় শিয়ালদার জিআরপি-র ওসি চন্দন দাসকেও। গোটা ঘটনায় পাল্টা রেলের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দিকে  ষ়ড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন শাহনওয়াজ মণ্ডলের পরিবার।

গোটা ঘটনায় বিধাননগর GRP-র ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

প্রশ্ন ১
বিমল সূত্রধরের কাছ থেকে কেন টাকা বাজেয়াপ্ত করল বিধাননগর GRP?

প্রশ্ন ২
কেন বাজেয়াপ্ত টাকার কোনও এন্ট্রি করা হল না জিআরপিতে?

প্রশ্ন ৩
বিমলের দাবিমতো ১৬লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে থাকলে, বাকি ১০ লক্ষ টাকা কোথায়?

প্রশ্ন ৪
কেন প্রথমে গোটা ঘটনা অস্বীকারের চেষ্টা করেছিল বিধাননগর GRP?

.