ন্যাশনাল মেডিক্যালে বিদ্যুত্ বিভ্রাট
সোমবার রাতে বিদ্যুত্ বিপর্যয় দেখা দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। জরুরি বিভাগ-সহ হাসপাতালের একাংশে বিদ্যুত্ ছিল না। প্রচন্ড গরমে নাকাল হতে হল রোগীদের। গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টাতেও বিদ্যুত্ সরবরাহ ঠিক করা যায়নি।
সোমবার রাতে বিদ্যুত্ বিপর্যয় দেখা দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। জরুরি বিভাগ-সহ হাসপাতালের একাংশে বিদ্যুত্ ছিল না। প্রচন্ড গরমে নাকাল হতে হল রোগীদের। গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টাতেও বিদ্যুত্ সরবরাহ ঠিক করা যায়নি।
সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ হঠাত্ই বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সার্জিক্যাল বিল্ডিং-এর আলো নিভে যায়। এই বিল্ডিং-এর নীচে রয়েছে জরুরি বিভাগ। বিদ্যুত্ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় অস্ত্রোপচার, এক্স-রে সহ চিকিত্সা পরিষেবা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল সিএসসির তরফে সরবরাহ সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় হাসপাতালেরই বিদ্যুত্ সরবরাহে ক্রটি দেখা দিয়েছে। আলো, পাখা না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা। আলোর অভাবে অস্ত্রোপচার শুরু করেও বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও বিদ্যুত্ না আসায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন রোগীরা। অভিযোগ, রোগীদের অবস্থা জানতে ওপরে যেতে দেওয়া হয়নি রোগীর আত্মীয়দের।
সার্জিক্যাল বিল্ডিং-এ জেনারেটর না থাকায় বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। আলোর অভাবে রোগী ভর্তিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূমূর্ষ রোগীদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ পরেও বিদ্যুত্ না আসায় অনেকে আবার রোগীদের অন্যত্র নিয়ে চলে যান। পূর্ত বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুত্ সরবরাহ চালু করার কাজ শুরু করেন। কিন্তু বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে না পাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় বিল্ডিং-এর একাংশে চেস্ট বিভাগে আলো আসে। কিন্তু তখনও অন্ধকারে জরুরি বিভাগ সহ সার্জিক্যাল ওয়ার্ড।