Haridevpur Teen Electrocuted: হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু, দফতরের সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব বিদ্যুৎমন্ত্রীর
হরিদেবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত বিদ্যুতের খুঁটির চেকিং হবে। বর্ষার মরশুমে শহর জুড়ে আর ত্রিফলা জ্বলবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : হরিদেবপুরে (Haridevpur) কিশোরের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Teen Electrocuted) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব বিদ্যুৎমন্ত্রীর। সোমবার এই ঘটনায় তদন্তের যথোপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। দফতরের সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত করে অবিলম্বে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি নিজেও গোটা ঘটনাটি দেখেছেন। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর, যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দোষ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই হরিদেবপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সিইএসসি, কেএমসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁরা রিপোর্ট দেবেন মেয়র এবং পুর কমিশনারকে। পাশাপাশি, হরিদেবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত বিদ্যুতের খুঁটির চেকিং হবে। বর্ষার মরশুমে শহর জুড়ে আর ত্রিফলা জ্বলবে না।
প্রসঙ্গত, হরিদেবপুর কাণ্ডে দায় চাপানোর খেলা চলছে পুরসভাতে। আলো বিভাগ বলছে, "ওই পোস্ট আমাদের নয়। বিএসএনএল-এর। আলো কারা লাগিয়েছে তা খোঁজ করা হচ্ছে।" যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর বলছেন, আলো লাগিয়েছে পুরসভা-ই। সেই প্রশ্নের উত্তরে আলো বিভাগের দাবি, কলকাতা পুরসভার সমস্ত আলোতে টাইমার লাগানো। সন্ধে ৬ টার আগে কোনওভাবেই আলো জ্বলার কথা নয়। আলো না জ্বললে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকার কথা নয়। কিন্তু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সন্ধে ৬ টার আগে।
ওদিকে, এই চাঞ্চল্যকর দাবি বিএসএনএলের। সংস্থার চিফ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, "পোল আমাদের ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে আমরা বলিনি। আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা পাওয়ার দিই না। তদন্ত হলে তথ্য চাইব। কলকাতায় এমন ১৫ লক্ষ কানেকশন ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। কিছু পোল রাখতেই হয়। কিন্তু পাওয়ার লাগাতে দেওয়া হয় না। আমরা এমন অনুমতি দিই না। আর কেউ অনুমতি নেয়ওনি।" অন্যদিকে, বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি-র দাবি, হরিদেবপুরের হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডে সিইএসসি-র সব কেবল ভূগর্ভস্থ। ওই বাতিস্তম্ভটি সিইএসসি-র নয়। ফলত, তার রক্ষণাবেক্ষণও সিইএসসি করে না।