রাজ্যে বিজেপি রুখতে বামেদের পাশে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস
রাজ্যে বিরোধী দল হিসেবে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলে তো বটেই কংগ্রেস থেকেও বেশ কিছু নেতা এর মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দলকে জনগণের কাছে প্রাসঙ্গিক রাখতে এবার বামেদের সঙ্গে ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনে যেতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে হাইকমান্ডের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তারা।
রাজ্যে একদিকে যখন নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি, তেমনি ভোট বাক্সে কম শক্তিশালী হয়ে পড়ছে বাম ও কংগ্রেস। রাজ্য রাজনীতিতে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে এখন বৃহত্তর আন্দোলনে সমভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে পাশে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। অগাস্ট মাসে বিষয়টি নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েক জন শীর্ষ নেতা। বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের অসাম্প্রদায়িক ভাবমুর্তি ধরে রাখতে প্রয়োজনে বামেদের সঙ্গে এক মঞ্চে যেতে প্রস্তুত তারা। কংগ্রেসের তৃণমূল বিরোধী আন্দোলন যাতে কোনও ভাবেই বিজেপির সঙ্গে এক না হয়ে যায় সে বিষয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের নেতাদের যত্নবান হতে বলেছে হাই কমান্ড। অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আগেও জাতীয় মঞ্চে কংগ্রেস ও বামেরা হাত মিলিয়েছে।
এবার রাজ্য রাজনীতিতেও সেই পথেই আন্দোলন চালাতে চাইছেন প্রদেশ নেতাদের কয়েকজন। বিধানসভার ভিতরে এর মধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে একই ইস্যুতে সরকার বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, বামেরা। চিটফান্ড ইস্যুতেও এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম নেতাদের। ভবিষ্যতে এধরণের জ্বলন্ত ইস্যুতে এক সঙ্গে লড়াইয়ে বামেদের পাশে চাইছে কংগ্রেসের একাংশ। তবে প্রদেশ নেতাদের একাংশ এই যুক্তি মানছেন না। তাঁদের দাবি বামেদের সঙ্গে গেলে আরও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে দল। অতীতে প্রথম ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করলেও রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনে যাওয়া হবে কী হবে না? তা নিয়ে এখনও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়নি বামেদের অন্দর মহলে।