দিদির সেনাবাহিনীতে ৫ লক্ষ সৈন্য জোগাড় করতে রণনীতি ভোটগুরু প্রশান্তের

ইউথ ইন পলিটিক্স, সংক্ষেপে ওয়াইআইপি। এটাই আপাতত হাতিয়ার পিকে-র। 

Updated By: Jul 11, 2019, 02:27 PM IST
দিদির সেনাবাহিনীতে ৫ লক্ষ সৈন্য জোগাড় করতে রণনীতি ভোটগুরু প্রশান্তের

নিজস্ব প্রতিবেদন: লক্ষ্য শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়। তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে যুব সম্প্রদায়কে টার্গেট করছেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। আর সেই লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে 'ইউথ ইন পলিটিক্স'-এর প্রচার। নাম নথিভুক্ত করালেই হাতের মুঠোয় প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ। 

লোকসভা ভোটে ধাক্কা আর তারপরই প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন তৃণমূল। বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতে মোদীর এককালের ভোটগুরুর হাত ধরেছে ঘাসফুল শিবির। জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পরই কাজ শুরু করে দিয়েছে টিম প্রশান্ত কিশোর। 

ইউথ ইন পলিটিক্স, সংক্ষেপে ওয়াইআইপি। এটাই আপাতত হাতিয়ার পিকে-র। বিধানসভা ভোটে বাজিমাত্‍ করতে যুব সম্প্রদায়কে পাখির চোখ করছেন পোড় খাওয়া নির্বাচনী রণনীতিকার। আর শিক্ষিত সেই যুব সম্প্রদায়কে রাজনীতির ময়দানে টানতে নতুন রণকৌশল ওয়াইআইপি।  

প্রশান্তের কৌশল

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালু হয়েছে 'ইউথ ইন পলিটিক্স'। শিক্ষিত যুবক-যুবতী যাঁরা রাজনীতিতে আসতে চান তাঁরা এই সাইটে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেন। যাঁরা নাম নথিভুক্ত করবেন, তাঁদের পরামর্শ দেবেন প্রশান্ত কিশোর।
প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পরবর্তী ১৫ মাস যুবক-যুবতীদের রাজনীতির ময়দানে গাইড করবেন পিকে।

এতে তৃণমূলের কতটা লাভ হবে? যাঁরা নাম নথিভুক্ত করাবেন তাঁরা সবাই যে তৃণমূলকে সমর্থন করবেন এমনটা নয়। প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সংস্থার গাঁটছড়া রয়েছে, তাই তৃণমূল মনোভাবাপন্ন যুবক-যুবতীরাই প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভূক্ত করবেন। তৃণমূলের মূল ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গে নতুন এই যুবশক্তির সমর্থন যোগ হবে।

আর সেজন্যই YIP ক্যাম্পেনের ছাতার তলায় যত সম্ভব নতুন মুখদের জড়ো করতে চাইছেন পোড় খাওয়া ভোটগুরু। 

টার্গেট ৫ লক্ষ

এখন প্রতিদিন ৪ হাজার নতুন মুখ ওয়াইআইপি-তে যোগ দিচ্ছেন। টিম প্রশান্ত কিশোরের লক্ষ্য এই সংখ্যাটাকে ১০ হাজারে নিয়ে যাওয়া। সেপ্টেম্বরের মধ্যে  ৫লক্ষ নতুন মুখকে রাজনীতির ময়দানে নামাতে চান প্রশান্ত কিশোর। ভোটগুরুর রণনীতি মেনেই ওয়াইআইপি প্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সবকটি সাইট ও প্ল্যাটফর্মে ওয়াইআইপি-র প্রচার শেয়ার করা হচ্ছে। প্রশান্ত কিশোরের কৌশল সফল হলে, বিধানসভা ভোটের আগে ৫লক্ষ নতুন যুব সেনা তৈরি হয়ে যাবে। যাঁরা পদ্মশিবিরের সঙ্গে টক্কর দিতে পুরোদমে প্রস্তুত। অন্ধ্রপ্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডির বাজিমাতের পিছনে কাজ করেছিল পিকে-র এই স্ট্রাটেজিই। বাংলাতেও পরীক্ষিত সেই রণকৌশলই ফের ব্যবহার করছেন প্রশান্ত কিশোর। এখানে বাজিমাত্‍ হবে কী? উত্তর দেবে ২০২১ সালের ইভিএম।

আরও পড়ুন- মুকুলকে টেনে ধরতে গিয়ে দলকে ডোবাচ্ছেন বিজেপির পুরনো নেতারা?

.