চাকরি সংকটে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা
ফের চাকরি নিয়ে সংকটে পড়তে চলেছেন রাজ্যের কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা। শিক্ষা অধিকার আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জনের ব্যবস্থা এখনও না হওয়াতেই এই সমস্যায় পড়তে হবে তাদের । শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের টালবাহানাতেই এমন পরিস্থিত তৈরি হয়েছে বলেই ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
ফের চাকরি নিয়ে সংকটে পড়তে চলেছেন রাজ্যের কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা। শিক্ষা অধিকার আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জনের ব্যবস্থা এখনও না হওয়াতেই এই সমস্যায় পড়তে হবে তাদের । শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের টালবাহানাতেই এমন পরিস্থিত তৈরি হয়েছে বলেই ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
শিক্ষা অধিকার আইন অনুযায়ী ২০১৫-র সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সব প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষনের পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এরাজ্যে এতদিন মাধ্যমিক পাশকেই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ করা হত । ফলে দেখা যাচ্ছে ২০০১ এর ৩ সেপ্টেম্বরে পর থেকে যেসব শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি পেয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার শিক্ষা অধিকার আইন অনুযায়ী যোগ্যতা নেই। এই ৭০ হাজারের মধ্যে আবার প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক এমন আছেন যাদের উচ্চমাধ্যমিক বা শিক্ষকপ্রশিক্ষন -- কোনও ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশ নম্বর নেই।
শিক্ষা অধিকার আইন বলছে এই যোগ্যতা না থাকলে ২০১৫-র ৩১শে মার্চের পরে কোনও ব্যক্তিই প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। ফলে দুটি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নম্বর পেতে কিছুদিন আগে শিক্ষকদের সাহায্য করতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য। ঠিক হয় ডিসট্যান্স মোডে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই যোগ্যতা অর্জন করান হবে। সেক্ষেত্রে সময় লাগবে দুবছর। ঠিক হয়েছিল জুলাই মাস থেকেই শিক্ষক প্রশিক্ষনের ক্লাস শুরু হবে। এজন্য ২৬০টি কেন্দ্রও স্থির করে সরকার। কিন্তু কারা পড়াবেন সেইসব কেন্দ্রে সে নিয়ে এবার দেখা দিয়েছে জটিলতা। রাজ্য সরকার যাদের দিয়ে প্রশিক্ষন দেওয়ার কথা ভাবছে তাদের নির্দিষ্ট ওরিয়েন্টেশন কোর্স ছাড়া পড়ানোর যোগ্য বলে মনে করছে না এন সি টি ই। ফলে জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও তা এখনও শুরু করা যায়নি। ওরিয়েনন্টেশন কোর্স কবে হবে, কবেই বা শিক্ষকদের ক্লাস শুরু হবে তা কারওই জানা নেই। শুধু তাই নয়, সেক্ষেত্রে দু-বছরের কোর্সই বা কবে শেষ হবে তাও কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেনা। কারণ ক্লাস শুরু হওয়ার সময় ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াই মাস পিছিয়ে গেছে। ফলে ক্লাস শেষও হবে দেরিতে। অর্থাত্ ২০১৪-র ডিসেম্বেরর আগে কোর্স শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর তারপরেও যারা নির্দিষ্ট
নম্বর না পাবেন না তাদের পক্ষে তিনমাসের মধ্যে যোগ্যতা অর্জন করা অসম্ভব।