আত্মসমর্পণেও কাটল না ধোঁয়াশা

জাগরী বাস্কের পর সুচিত্রা মাহাত। শশধর মাহাত থেকে কিষেণজি। বিতর্কের পর ফের বিতর্ক। তার মাঝেই রাজ্য সরকারের এই সাফল্য। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ের পিছনে কাজ করছে রাজনীতিও।

Updated By: Mar 9, 2012, 11:57 PM IST

জাগরী বাস্কের পর সুচিত্রা মাহাত। শশধর মাহাত থেকে কিষেণজি। বিতর্কের পর ফের বিতর্ক। তার মাঝেই রাজ্য সরকারের এই সাফল্য। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ের পিছনে কাজ করছে রাজনীতিও। নয়া সরকার গঠনের পরেই জাগরী বাস্কে এবং তাঁর স্বামী রাজারাম সোরেনের সন্তানসহ আত্মসমর্পনকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
সেই বিতর্কের ঢেউ ফের উস্কে দিল সুচিত্রা মাহাতর আত্মসমর্পন। গত ২৪ নভেম্বর বুড়িশোলের জঙ্গলে কিষেণজি নিহত হওয়ার দিন গুলিতে আহত হয়েছিলেন সুচিত্রা। কিষেণজির শরীরে তেরো-চোদ্দটি গুলি ও মর্টারের আঘাত লাগল। অথচ পাশে থেকেই সুচিত্রা বাঁচলেন কীভাবে? যৌথবাহিনীর ঘেরাটোপ থেকে পালালেন কীভাবে ? পুলিসের দাবি অনুসারে যৌথবাহিনীকে এড়িয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ধরা পড়েছিলেন এক চিকিত্সক এবং আরও একজন যারা তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু তারপর থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি হয় সুচিত্রাকে নিয়ে।
কোথায় ছিলেন?
কোথায় চিকিত্সা হল ?
কীভাবে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ হল ?
 
মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুচিত্রা অনেক প্রশ্নেরই উত্তর এড়িয়ে গেলেন। পুলিসকর্তাদের উদ্বেগ প্রকাশিত হয়ে পড়ল। সুচিত্রা জানান তিনি গ্রামে ছিলেন। আদতে সুচিত্রা মাহাতর চিকিত্সা হয় পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া লাগোয়া একটি জায়গায়। এই ব্যবস্থাপনা এবং সহযোগিতার জন্যই ক্রমশ তাঁর ঘনিষ্ট হন প্রবীর। যিনি নিজেও একসময় পুলিসের হাতে ধরা পড়েছিলেন জনসাধারণের কমিটির সদস্য হিসাবে। পরে রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও অবস্থান বদলে গিয়েছে। সেই সূত্রেই ধীরে ধীরে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আত্মসমর্পনের অবস্থা তৈরি হওয়া।
 
এতদিন ধরে চিকিত্সা চললেও পুলিস কেন কোনও খোঁজ পেল না সেই প্রশ্নও উঠছে বার বার।

.