নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের জন্য গত ১০ মার্চ নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছিল আদর্শ আচরণ বিধি। সেই আচরণবিধি রবিবারই তুলে নেওয়া হয় কমিশনের তরফে। আর তার পরই সিআইডিতে নিজের পদ ফিরে পেলেন রাজীব কুমার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার পুলিস কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে সিআইডির এডিজি পদে বসানো হয় রাজীব কুমারকে। কিন্তু ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগে নির্বাচন কমিশন ওই পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেয়। রাজীবকে পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।


আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে নোটিস, আগামিকাল সকাল ১০টায় তলব করল CBI


রবিবার নির্বাচনী আচরণ বিধি উঠে যেতেই রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতেই রাজীব কুমারকে সিআইডিতে ফেরার কথা জানানো হয়।


একই সঙ্গে নির্বাচনে কমিশনের নির্দেশে যে সমস্ত পুলিস আধিকারিকরা পদ হারিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশকেই পুরনো পদে ফেরানো হয়েছে। কলকাতার পুলিস কমিশনার পদে ফিরেছেন অনুজ শর্মা। বিধাননগরের পুলিস কমিশনারের পদে ফেরানো হয়েছে জ্ঞানবন্ত সিংকে।


এই দুজনকেই নির্বাচন কমিশনের তরফে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি নির্বাচনের সমস্ত রকম দায়িত্বে এই দুজনকে না রাখার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে কলকাতার পুলিস কমিশনার করা হয়েছিল রাজেশ কুমারকে। আর বিধানগরের পুলিস কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এন রমেশবাবুকে। এই দুজনকেই কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা


এদিনের নির্দেশিকায় একাধিক জেলার পুলিস সুপার ও এসডিপিও পদে রদবদল করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কমিশনের নির্দেশে সরে যাওয়া অফিসারদের ফেরানো হয়েছে। যাঁরা এই সময়ের মধ্যে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের বিভিন্ন পদে বদলি করা হয়েছে।


তবে ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরি ও কোচবিহারের পুলিস সুপার অমিত কুমার সিংকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে পুরনো পদে ফিরলেও স্বস্তিতে নেই রাজীব কুমার। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর রক্ষাকবচ সরিয়ে নিয়েছে। আইনি সহায়তার জন্য সাতদিন সময় দিয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদনে ব্যর্থ হন রাজীব। কারণ, রাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে।


আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রাজীব কুমার, লুক আউট সার্কুলার জারি প্রাক্তন নগরপালের বিরুদ্ধে


সোমবার তিনি ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে সিবিআই নোটিস ধরায়। প্রথমে পার্ক স্ট্রিটের আইপিএস কোয়ার্টারে রাজীবের বাড়ি গিয়ে নোটিস দেওয়া হয়। তার পর ভবানী ভবনে সিআইডির দফতরে গিয়েও নোটিস দেওয়া হয়। সোমবার সকাল ১০টায় তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।