বাবার জেদের কাছে হার মানল প্রশাসন, মেয়ের সত্কার শেষ, এবার শুরু অন্য লড়াই
রুটি-রুজির টানে বিহারের সমস্তিপুর থেকে এসেছিলেন কলকাতায়। দু-দুবার গণধর্ষণের পর মেয়ের মৃত্যু, দুষ্কৃতী আর পুলিসের হুমকি। সবই সহ্য করতে হয়েছে। তবুও, দমানো যায়নি তাঁকে। বরং রোগা-পাতলা চেহারার ছ-ফুটের ট্যাক্সি চালকের কাছেই মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
রুটি-রুজির টানে বিহারের সমস্তিপুর থেকে এসেছিলেন কলকাতায়। দু-দুবার গণধর্ষণের পর মেয়ের মৃত্যু, দুষ্কৃতী আর পুলিসের হুমকি। সবই সহ্য করতে হয়েছে। তবুও, দমানো যায়নি তাঁকে। বরং রোগা-পাতলা চেহারার ছ-ফুটের ট্যাক্সি চালকের কাছেই মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
৫ ও ২৭ অক্টোবর। দু-দুবার গণধর্ষণের শিকার মেয়ে। দুষ্কৃতীদের হুমকি। তবুও, ভয় পাননি বাবা। মধ্যমগ্রামের বাসা ছেড়ে এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটের কাছে ভাড়া বাড়ি। সেখানেও মেয়ের পিছু ছাড়েনি দুষ্কৃতীরা।
২৩শে ডিসেম্বর। আগুনে পুড়ল ধর্ষিতা মেয়ে। ৩১শে ডিসেম্বর হাসপাতালের বেডে জ্বালা জুড়োলো। দুষ্কৃতীদের হুমকির পর সদ্য কন্যাহারা মা-বাবাকে শুনতে হল পুলিসের হুমকি। কিন্তু শাসকের চোখ রাঙানিতে ভয় পাননি ছ-ফুটের ট্যাক্সিচালক। ঠিক করেছিলেন পুলিস নয়, নিজের হাতেই মেয়ের সত্কার করবেন। আর তার আগে দেখা করবেন রাজ্যপালের সঙ্গে। শেষপর্যন্ত সমস্তিপুরের ট্যাক্সি ড্রাইভারের অনমনীয় মনোভাবের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর পরই তিনি মেয়েকে নিয়ে গেছেন শ্মশানে। জানিয়ে দিয়েছেন লড়াই ছাড়বেন না।
মেয়েকে গণধর্ষণের পর গত দু-মাস ধরে তিনি লড়ছিলেন দুষ্কৃতীদের সঙ্গে, পুলিসের সঙ্গে, এই সমাজের সঙ্গে। মেয়ে চলে যাওয়ার পর এ বার আরেক লড়াইয়ে বাবা। শোককে প্রশ্রয় না দিয়ে যে লড়াই প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সুবিচারের দাবিতে।