TMC 21 July: একুশের মঞ্চেই তৃণমূলে শোভন-বৈশাখী! মেনে নেবেন দলে? কী বললেন রত্না...
"আমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখের দিকে চেয়ে মেনে নিতে হবে। মন থেকে যে মেনে নিচ্ছি, সেরকম ব্যাপার নেই। তবে মাথা নিচু করে তাঁদেরকে আসতে হচ্ছে। নৈতিক জয় আমার।"
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একুশের মঞ্চে ফের 'ঘর ওয়াপসি' করতে পারেন শোভন-বৈশাখী। গেরুয়া পর্ব অতীত। ফের ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর তাই এবারের একুশের সমাবেশ ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা। কী কী চমক থাকছে এবারের একুশে জুলাই? বুধবার প্রস্ততিপর্ব খতিয়ে দেখে চমক থাকার ইঙ্গিত দিলেও, যদিও তার খোলসা করেননি অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায়। এদিন শোভন-বৈশাখীর ফের তৃণমূলে যোগদান জল্পনা নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ও বললেন, "আজ একুশের মঞ্চ থেকে কী হবে, সবটাই জল্পনা। আমি তৃণমূলের বিধায়ক হলেও, আমার কাছেও কোনও খবর নেই। কেউ-ই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। কে যোগদান করবে না করবে না, এখনও কিছু জানা নেই। যদি কেউ যোগদান করে, তবে আমি মনে করব, তাঁরা মমতা ব্যানার্জির পায়ের কাছে এসে প্রার্থনা জানাচ্ছেন তাঁদের পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনের জন্য।"
রাজনীতির আঙিনায় রত্না-শোভন-বৈশাখী দ্বন্দ্ব সুবিদিত। সেই শোভন-বৈশাখী জুটি যদি আবার তৃণমূলে যোগদান করেন, তাহলে কি তা মেনে নিতে পারবেন রত্না চট্টোপাধ্য়ায়? জবাবে বেহালা পূর্বের বিধায়ক বলেন, "ব্যক্তিগত জায়গাটা একরকম। রাজনৈতিক ক্ষেত্রটা আরেকরকম। রাজনীতি করতে এসেছি আমরা। এখানে কে তৃণমূল কংগ্রসে করবে, কারা করবে না, সম্পূর্ণ আমাদের সুপ্রিমো ঠিক করেন। আর সুপ্রিমো যা ঠিক করেন, সেটা আমরা মাথা পেতে সম্মান জানিয়ে মেনে নিই। এখন শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমন্ত্রণ জানান ও তাঁরা যদি মঞ্চে উপস্থিত হন, আমায় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখের দিকে চেয়ে মেনে নিতে হবে।" যদিও এটা স্পষ্ট করে দেন যে, "মন থেকে যে মেনে নিচ্ছি, সেরকম ব্যাপার নেই।"
তবে ব্যক্তিগত বৈরিতা থাকলেও, রত্না এটাও স্পষ্ট করে দেন যে, রাজনৈতিক প্রয়োজনে ও দলের স্বার্থে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে একমঞ্চে বসতেও আপত্তি নেই তাঁর। দল এবং নেত্রী যা নির্দেশ দেবেন, তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। পাশাপাশি, রত্না চট্টোপাধ্য়ায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "শোভন-বৈশাখী তৃণমূলে যোগ দিলে, সেটা হবে অনেক বড় জয়। কারণ আমাকে একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আমাকে দুমড়ে-মুচড়ে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আমি কাউন্সিলর হয়েছি। বিধায়ক হয়েছি। আর আজ সেই দলে মাথা নিচু করে তাঁদেরকে আসতে হচ্ছে। নৈতিক জয় আমার।"
আরও পড়ুন, TMC 21 July: একুশেই শিলমোহর মমতার রাজনৈতিক আন্দোলনে, কী ঘটেছিল সেদিন? ফিরে দেখা ইতিহাস