BJP Nabanna Abhiyan: ''তৃণমূলের মদতে পুলিসি সন্ত্রাস'! নবান্ন অভিযানে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ বিজেপির
ব্যবধান মাত্র ৩ দিনে। নবান্ন অভিযানের পর, রাজ্যে আসে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। 'বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে', মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজলাল। অবশেষে রিপোেট জমা পড়ল।
মৌপিয়া নন্দী: ''তৃণমূলের মদতে পুলিসি সন্ত্রাস'! নবান্ন অভিযানে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। রিপোর্টে বলা হল, 'শাসকদলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে পুলিস। অভিষেকের মন্তব্যই প্রমাণ সন্ত্রাসের মদত দিয়েছে তৃণমূল'। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এই রিপোর্ট জমা দিলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা।
ব্য়বধান মাত্র ৩ দিনের। নবান্নে অভিযানের পর, রাজ্যের আসেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেদিন প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যান কমিটির সদস্য ব্রিজলাল, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, অপরাজিতা সারেঙ্গি, সুনীল জাখড় ও সমীর ওঁরাও। হাসপাতাসলে তখন নবান্নে অভিযানে আহত যেসব বিজেপি কর্মীদের চিকিৎসা চলছিল, তাঁদের কথা বলেন। পরবর্তী গন্তব্য ছিল, উল্টোডাঙায় মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়ি।
আরও পড়ুন: Garden Reach Cash Recovery: গেমিং অ্যাপ বানিয়ে বিপুল টাকা প্রতারণা, গাজিয়াবাদ থেকে পাকড়াও আমির খান
নবান্ন অভিযানের দিন বড়বাজার থেকে মিছিল যাচ্ছিল নবান্নের দিকে। সেই মিছিল আটকালে পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থক। মাথা ফেটে যায় ২২ নম্বর কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। কীভাবে? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। উল্টোডাঙায় বাড়িতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির পাঁচ সদস্য। এরপর পূর্ব ঘোষণামতো হেস্টিংসে বিজেপি কার্য়ালয়ে নয়, হেয়ার স্ট্রিটে থানা হাজির হন তাঁরা। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি সদস্য, বিজেপি সাংসদ ব্রিজলাল বলেন, 'হেয়ার স্ট্রিট থানার লকআপে মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের আটক রাখা হয়েছে। তাঁরা ঠিকমতো আইনি সাহায্য পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিলাম আমরা'। অবশেষে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা পড়ল।
বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি
------
'নবান্ন অভিযানে আহত ৭৫০ জন। গ্রেফতার সাড়ে পাঁচশো। নিখোঁজ ৪৫'।
'অভিষেকের মন্তব্যই প্রমাণ সন্ত্রাসে মদত দিয়েছে তৃণমূল'।
'শাসকদলের নির্দেশে বেআইনিভাবে কাজ করেছে পুলিস'।
'নবান্ন অভিযানের দিন কর্তব্য পালনে গাফিলতি ছিল রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারের'।
'পুলিসকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়'।
'সিবিআই তদন্ত ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হচ্ছে'।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। সেদিন তিন দিক মিছিল করে নবান্ন ঘেরাও করার পরিকল্পনা ছিল সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠেছিল কলকাতা ও হাওড়া। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। সঙ্গে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস। আটক করা হয় শুভেন্দু, লকেট ও সুকান্তকে।
এদিকে কলকাতার এমজি রোডে বিক্ষোভকারীদের বাঁশ ও লাঠির আঘাতে হাত ভেঙেছে অ্য়াসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়ের। এসএসকেএম উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁকে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বাইরে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'আমি দেবজিৎ বাবুকে বললাম। আমি আপনাকে স্যালুট জানাই, আপনি কিছু করেননি বলে। আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম। আমার সামনে যদি পুলিসের গাড়়িতে আগুন জ্বলত, কপালে গুলি করতাম'। সেই মন্তব্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।