রাজ্য মন্ত্রিসভার নতুন মুখ নিয়ে আলোচনা তৃণমূলে
কংগ্রেস মন্ত্রীদের পদত্যার পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল আসন্ন। গেকংগ্রেসের দুই পূর্ণমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা ও আবু হেনার শূন্যস্থান পূরণের ইঁদুর দৌড়ে এগিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং অরূপ বিশ্বাস। মন্ত্রিত্বের দৌড়ে শোনা যাচ্ছে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নামও।
কংগ্রেস মন্ত্রীদের পদত্যাগের পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল আসন্ন। কংগ্রেসের দুই পূর্ণমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা ও আবু হেনার শূন্যস্থান পূরণের ইঁদুর দৌড়ে এগিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং অরূপ বিশ্বাস। মন্ত্রিত্বের দৌড়ে শোনা যাচ্ছে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নামও। যদিও, কোনও নাম বা তালিকাই চূড়ান্ত বলার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় কংগ্রেস আর নেই। ছেড়ে চলে গেছেন ছজন মন্ত্রীও। ফলে আলাপ আলোচনা জল্পনায় উঠতে শুরু করেছে মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল। এই ইঁদুর দৌড়ে উঠে আসছে একাধিক নাম। কোনও নাম যোগ্যতার নিরিখে। কোনও নাম আনুগত্যের বিচারে। তবে কোনওটাই এখনও চূড়ান্ত নয়। যেদিন খুশি যখন খুশি বদলে যেতে পারে সবটাই।
কংগ্রেসের দুজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। মানস ভুঁইঞা ও আবু হেনা। তৃণমূলের তালিকায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে দুজনের নামে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং অরূপ বিশ্বাস। অরূপ এখন রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁকে পূর্ণমন্ত্রী করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব পাবেন তাপস রায়।
গতবার মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় শশী পাঁজা বাইরে থাকায় মন্ত্রী হতে পারেননি। নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এবার আর তিনি কোথাও বাইরে যাচ্ছেন না, এমনটাই খবর। সুজিত বসু এবং তপন দাশগুপ্ত দুজনেই মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। মন্ত্রী হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দীপা দাশমুন্সির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের নামও রয়েছে আলোচনার তালিকায়। জেলা রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা জ্যোতির্ময় করের কাজকর্মে খুশি নেত্রী। আসতে পারেন তিনিও। আশিস ব্যানার্জিকেও মন্ত্রী করা হতে পারে। তালিকাটা আরও দীর্ঘ। তবে সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কংগ্রেসের ছেড়ে যাওয়া ছটি শূন্যপদেই মন্ত্রী দেওয়া হবে নাকি কিছু পদ ফাঁকা রেখে পরে তা পূরণ করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। আবার কোনও কোনও মহলে আলোচনা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী করে নতুন মেয়রের খোঁজ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।