Roddur Roy: শিল্পীর স্বাধীনতার যুক্তি খারিজ, বিপদের মুখে রোদ্দুর রায়!
এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন নিম্ন আদালতে এফআইআর বাতিলের আবেদন খারিজের পর বিচারককে পার্টি করে দেওয়া হল! এখন সিঙ্গল বেঞ্চ আবেদন খারিজ করলে যদি ডিভিশন বেঞ্চে যদি মামলা হয় তাহলে কি সিঙ্গল বেঞ্চকেও পার্টি করে দেওয়া হবে!
অর্নবাংশু নিয়োগী: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার কুরুচিকর মন্তব্য করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার রোদ্দুর রায়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ করা হয়। গত ৭ জুন গোয়া থেকে রোদ্দুরকে গ্রেফতার করে আনে পুলিস। টানা ২০ দিন হেফাজতে থাকার পর ২৭ জুন জামিন পান রোদ্দুর। তবে জামিন পেয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন রোদ্দুর রায়। জামিন পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সব এফআইআর বাতিলের আবেদন করে মামলা করেছিলেন রোদ্দুর। হাইকোর্টে হওয়া সেই মামলায় রোদ্দুরের এফআইআর বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন নিম্ন আদালতে এফআইআর বাতিলের আবেদন খারিজের পর বিচারককে পার্টি করে দেওয়া হল! এখন সিঙ্গল বেঞ্চ আবেদন খারিজ করলে যদি ডিভিশন বেঞ্চে যদি মামলা হয় তাহলে কি সিঙ্গল বেঞ্চকেও পার্টি করে দেওয়া হবে! প্রসঙ্গত, এদিন রোদ্দুর রায়ের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন-Roddur Roy: নির্বাপিত রোদ্দুর! সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন 'মোকসা' রোদ্দুর রায়ের আসল পরিচয় কী?
উল্লেখ্য, কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে হেয়ারস্ট্রিট, বটতলা, পাটুলি ও লেক থানায় এফআইআর করা হয়। সেইসবএফআইআরের জন্যই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। তবে শেষপর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি। তবে জাতীয় পতাকাকে অপমান করার জন্য ভিডিয়ো তৈরি করে ক্ষমা চাইতে বলা হয় তাঁকে। এরপর জামিন পেয়েই তিনি শিল্পীর স্বাধীনতার যুক্তি দিয়ে এফআইআর বাতিল করার আবেদন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে উসকানি দেওয়া, জাতিগত, ভাষাগত সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা বাধানো।
জেল হেফাজতে যাওয়ার আগে রোদ্দুর রায় দাবি করেন, আমি আপরাধী নই., রাজনীতির শিকার। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে মারা যান সঙ্গীত শিল্পী কেকে। ওউ ঘটনার পর একটি ভিডিয়ো করে অনুষ্ঠানে দর্শকসংখ্যা, এসি না চলা, দর্শকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি ফেসবুক লাইভ করেন রোদ্দুর রায়। রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্য থেকে শুরু করে সেদিন নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে রোদ্দুর রায়। এখানেই সে থেমে থাকেনি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে তাঁকে দিদি সম্বোধন করেই একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকে রোদ্দুর রায়। শুধুমাত্র নজরুল মঞ্চের ঘটনাই নয়, মমতার প্রশাসনিক বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন তোলে সে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগে রোদ্দুর রায়। অশ্লীল গালিগালাজ করতে পিছপা হয়নি রোদ্দুর রায়। এরপরই তার নামে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে ও তার জেরেই রুজু হয় একাধিক মামলা।