খাল বোজানো ইস্যুতে বিধানসভায় সব্যসাচী দত্ত- সুজিত বসু কাজিয়া
ওয়েব ডেস্ক: সব্যসাচী দত্ত বনাম সুজিত বসু। বিধানসভায় ফের শাসকদলের দুই বিধায়কের কাজিয়া। গোলাঘাটা থেকে লেকটাউন পর্যন্ত খাল বোজানো নিয়ে বিধাসনভার প্রশ্ন তোলেন সব্যসাচী দত্ত। নাম না করে তোপ দাগেন এলাকার বিধায়ক সুজিত বসুর বিরুদ্ধে। পাল্টা জবাব দেন সুজিত বসুও।
নয়ানজুলি খাল এখন অতীত। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ খাল বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার বিধানসভায় এই খাল বোজানে নিয়েই তোপ দাগেন তৃণমূলের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। বিধানসবায় তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন
PWD -র এই খাল বুজিয়ে ফেলার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ক্ষতি হচ্ছে।
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তাঁর অভিযোগ
গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত ও ব্যবসায়িক স্বার্থ।
তাঁর মূল টার্গেট এলাকার বিধায়ক সুজিত বসু। বিধানসভার লবিতে দাঁড়িয়ে সব্যসাচীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুজিত বসু। তাঁর বক্তব্য.... "এটা JNNURM -র প্রকল্প। ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সারাদিন চুন সিমেন্টের দিকে নজর থাকলে এসব প্রকল্পের কী বুঝবে সে? এসব অভিযোগের জবাব দেওয়ার কোনও মানেই হয় না'
গোলাঘাটা থেকে উল্টোডাঙা মোড় এই অঞ্চল জুড়েই একসময় ছিল নয়ানজুলি খাল। এখানকার মাটি কেটেই তৈরি হয়েছিল VIP রোড। সেই খাল বোজানোর কাজ চলছে জোর কদমে।এমনিতেই জল জমে এই অঞ্চলে। খাল বুজে গেলে ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টিতেই ভাসবে এলাকা। চরম দুর্দশায় পড়বেন বাসিন্দারা। তবে, সব্যসাচী ব্যবসায়িক স্বার্থের অভিযোগ করলেন কেন?
মাঝখানে খাল থাকায় এতদিন VIP রোডে সরাসরি ঢোকা যেত না। অনেকটা পথ ঘুরে আসতে হত। এখন খাল না থাকায় VIPতে উঠতে আর কোনও বাধা রইল না। ফলে খালের একধারে তৈরি হচ্ছে মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং, শপিং মল। অভিযোগ, জমির দাম প্রতি কাঠায় ৩০ লক্ষ থেকে দেড় কোটিতে পৌছেছে। আর সেদিকই আঙুল তুলেছেন সব্যসাচী দত্ত।