নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা পজেটিভ। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি প্রায় সপ্তাহ দুয়েক ধরে। পরিবারের কারও সঙ্গেই কোনও যোগ নেই। জন্মদিনে তাই মনখারাপ করে বসেছিলেন ৬০ বছরের প্রৌঢ়া। শেষে হাসি ফোটালেন হাসপাতালের নার্সরাই। পরিবার দূরে তো কী হয়েছে? প্রৌঢ়ার ৬০ বছরের জন্মদিনে তাঁর হাতে চকোলেট কেক তুলে দিলেন নার্সরা। মোমবাতিতে ফুঁ দিয়ে সেই কেক কাটলেন প্রৌঢ়া। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তখন সমস্বরে বাজছে কোরাস, 'হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থ ডে ডিয়ার...' এখানেই শেষ নয়, জন্মদিনের উপহার হিসেবে ওই প্রৌঢার হাতে একটি বার্থ ডে কার্ড ও কফি মগও তুলে দিলেন নার্সরা। মন ভালো করে দেওয়া এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন সল্টলেক আমরি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি অন্য সব রোগীরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই প্রৌঢ়া হাওড়ার শিবপুররের বাসিন্দা। গত ২৮ এপ্রিল তাঁর কোভিড পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তারপরই তাঁকে আমরিতে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাঁকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ছেড়েও দেওয়া হবে। প্রৌঢ়ার সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁর ৩৯ বছরের ছেলেও। তাঁরও রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল। চিকিৎসার পর গত সপ্তাহে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


এখন ছেলেকে ছাড়া হলেও, মা এখনও হাসপাতালে। এদিকে মায়ের আজ ৬০ তম জন্মদিন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে এখনও না ছাড়ায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ নেই। এদিকে মঙ্গলবার, ১২ মে, আন্তর্জাতিক নার্সিং দিবস। অন্যান্য হাসপাতালের মত এই দিনটি পালন করছেন সল্টলেক আমরির নার্সরাও। আর আজই ওই প্রৌঢ়ার জন্মদিন। আমরির নার্সদের কথায়, জন্মদিনে বাড়ি থেকে, পরিবারের সবার থেকে দূরে রয়েছেন ওই প্রৌঢ়া। এমনিতেই কারোও হাসপাতালে আসতে, থাকতে ভালো লাগে না। সেখানে কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে একেবারে আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে।


এই পরিস্থিতিতে মনখারাপ ভুলিয়ে ওই প্রৌঢ়ার জন্মদিন আনন্দে, উষ্ণতায় ভরিয়ে তোলা তাঁদের সেবাধর্মেরই দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন কর্তব্যরত নার্সরা। এরফলে একদিকে ওই প্রৌঢ়ার মুখে যেমন হাসি ফুটল, তেমনই অন্য রোগীদের মনেও ইতিবাচক বার্তা যাবে বলে আশাবাদী নার্সরা।


আরও পড়ুুন, মেয়াদ বাড়ল কলকাতা পুরসভার কেয়ারটেকার বোর্ডের, হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তি সরকারের