Saltlake Suicide: একমাস আগেই মৃত্যু বাবার! সল্টলেকে আত্মঘাতী মা-মেয়ে, সুইসাইড নোটের সাথে রাখা ২০ হাজার টাকা
২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় সুপর্ণা ঘোষের স্বামী স্নেহাংসু ঘোষের। তারপর থেকেই মানসিক এবং আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েন তাঁরা।
![Saltlake Suicide: একমাস আগেই মৃত্যু বাবার! সল্টলেকে আত্মঘাতী মা-মেয়ে, সুইসাইড নোটের সাথে রাখা ২০ হাজার টাকা Saltlake Suicide: একমাস আগেই মৃত্যু বাবার! সল্টলেকে আত্মঘাতী মা-মেয়ে, সুইসাইড নোটের সাথে রাখা ২০ হাজার টাকা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/05/27/376874-2705zgsalt-2-death.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : সল্টলেকে মা-মেয়ের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য (Saltlake Suicide)। দেহের পাশে মিলল সুইসাইড নোট। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার টাকাও। মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী বলেই অনুমান পুলিসের। দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্যে পাঠিয়েছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। ডিভোর্সের পর থেকে মায়ের সঙ্গেই ছিল মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শেষবারের মত কথা বলেন সল্টলেক সিডি ব্লকের বাসিন্দা সুপর্ণা ঘোষ (৫৫)। এরপর আজ সকালে সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়ির তিন তলার বাসিন্দা সুপর্ণা ঘোষের প্রতিবেশী দেখতে পান যে, তাঁর ঘরের ভিতর থেকে জল বেরিয়ে আসছে। বারংবার ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর ওই মহিলার বান্ধবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু প্রতিবেশী এবং বন্ধুরা, সবাই ফোন করলেও তার কোনও উত্তর মেলেনি। দরজায় এসে ধাক্কা মারলেও কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাঁদের।
খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। পুলিস এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখে যে, ঘরের খাটের উপর মেয়ে স্নেহা ঘোষ এবং মেঝেতে মা সুপর্ণা ঘোষের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে (Saltlake Suicide)। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও পায় পুলিস। সুইসাইড নোটের সঙ্গে রাখা ছিল ২০ হাজার টাকাও। মৃত্যুর পর সৎকার ও অন্ত্যেষ্টি কাজের জন্যই সুইসাইড নোটের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা রাখাছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্থানীয় ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায় জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় সুপর্ণা ঘোষের স্বামী স্নেহাংসু ঘোষের। তারপর থেকেই মানসিক এবং আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েন তাঁরা। যে কারণেই তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সল্টলেকে। সত্যি কি মানসিক অবসাদের জেরে স্বামীর মৃত্যুর এক মাস পরই চাকরিরতা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন সুপর্ণা ঘোষ? নাকি অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মা-মেয়ের আত্মহত্যার নেপথ্যে? সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস।