Sandip Ghosh | R G Kar: পুলিসকে না জানিয়েই ক্রাইম সিনের পাশে 'সংস্কার' সন্দীপের! আরজি কর-কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য...

R G Kar Incident: ৯ অগাস্ট ঘটনার পরদিন-ই, ১০ অগাস্ট সই করা চিঠিতে পূর্ত দফতরকে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলেন সন্দীপ ঘোষ।

Updated By: Sep 7, 2024, 04:53 PM IST
Sandip Ghosh | R G Kar: পুলিসকে না জানিয়েই ক্রাইম সিনের পাশে 'সংস্কার' সন্দীপের! আরজি কর-কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য...

পিয়ালি মিত্র: আরজি কর-কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য। পুলিসকে অন্ধকারে রেখেই সংস্কার। জি ২৪ ঘণ্টার হাতে বিস্ফোরক তথ্য। সেমিনার রুম সংলগ্ন ডক্টরস রুম সংস্কার করতে চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। পুলিসকে অন্ধকারে রেখেই শুরু হয় সেই সংস্কার। নির্মাণ কাজের বিষয়ে পুলিসকে জানানো হয়নি বা অনুমতি চাওয়া হয়নি। নির্মাণকাজ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই রিপোর্ট করা হয়। ১৪ অগাস্ট রিপোর্ট করেন তত্‍কালীন প্রিন্সিপাল।

নতুন প্রিন্সিপালের নজরে আসতেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তদন্ত চলায় সংস্কারের জন্য পুলিসের কাছে অনুমতি চান সুহৃতা পাল। ১৩ অগাস্ট ডিসি নর্থকে চিঠি দেন প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সুহৃতা পাল। যে চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন ডিসি নর্থ। চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়, ক্রাইম সিনের পাশে যেন কোনওরকম নির্মাণকাজ না হয়। প্রসঙ্গত, গতকালই সামনে আসে যে সন্দীপের নির্দেশেই দেহ উদ্ধারের পরই ক্রাইম সিনের পাশে 'সংস্কার' কাজ শুরু হয়! ৯ অগাস্ট ঘটনার পরদিন-ই, ১০ অগাস্ট সই করা চিঠিতে পূর্ত দফতরকে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলেন সন্দীপ ঘোষ।

সন্দীপ ঘোষের সই সম্বলিত সেই চিঠি সামনে আসতেই দেখা যায়, ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার রুম থেকে ট্রেইনি ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের পর দিন ১০ অগাস্ট-ই অর্থাত্‍ ধর্ষণ ও খুনের দ্বিতীয় দিনেই ঘটনার জায়গায় মানে 'ক্রাইম সিনে' নির্মাণকাজ শুরু করতে বলে পূর্ত দফতরকে চিঠি দিয়েছেন খোদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, স্বাস্থ্যভবনের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ অগাস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং মেডিক্যাল এডুকেশনের ডিরেক্টরের সঙ্গে আরজি করের বোর্ড রুম মিটিংয়েই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

অর্থাত্‍ সন্দীপের নির্দেশেই ক্রাইম সিনের পাশে শুরু হয় 'সংস্কার'! উল্লেখ্য, ঘটনার পরদিনই 'ক্রাইম সিন' সেমিনার রুম সংলগ্ন ঘরের দেওয়াল ভাঙা শুরু হতেই হই চই পড়ে যায়। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে। এই চিঠি সামনে আসার পর সেই অভিযোগেই সিলমোহর পড়ল বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। 

আরও পড়ুন, Sandip Ghosh: বাগানবাড়ি একটা নয়, 'কীর্তিমান' সন্দীপের আরও আরও সম্পত্তির হদিশ!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.