বিভাজন মুছতে 'সংস্কৃতি সমন্বয়'

সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হলেন বুদ্ধিজীবীরা। দলীয় রাজনীতি দূরে সরিয়ে শিল্পীদের এক ছাতার তলায় আনতে ৩ মাস আগে তাঁরা তৈরি করেছেন নতুন সংগঠন  `সংস্কৃতি সমন্বয়`। রবিবার সেই সংগঠনেরই প্রথম কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল কলকাতার বিজন থিয়েটারে।

Updated By: Mar 11, 2012, 07:30 PM IST

সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হলেন বুদ্ধিজীবীরা। দলীয় রাজনীতি দূরে সরিয়ে শিল্পীদের এক ছাতার তলায় আনতে ৩ মাস আগে তাঁরা তৈরি করেছেন নতুন সংগঠন 'সংস্কৃতি সমন্বয়'। রবিবার সেই সংগঠনেরই প্রথম কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল কলকাতার বিজন থিয়েটারে।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে সবক্ষেত্রেই রাজনীতির মেরুকরণের অভিযোগ উঠছে। বাদ যায়নি শিল্প-সংস্কৃতির মহলও। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে। অনেককেই দেখা গিয়েছে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নিতে। সেই বিভাজিত সাংস্কৃতিক মহলের পরিবর্তে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরানোই 'সংস্কৃতি সমন্বয়' মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এদিনের কনভেনশনে যোগ দেন শোভা সেন, অশোক মুখোপাধ্যায়, উষা গাঙ্গুলি, চন্দন সেনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শিল্পীদের দাবি দাওয়ার পাশাপাশি সমসাময়িক সামাজিক সমস্যার বিষয়ে মত বিনিময়ের জায়গা এই মঞ্চ বলে দাবি করেন সকলেই। নাট্য ব্যক্তিত্য চন্দন সেন বলেন, "আমরা যারা থিয়েটারে কাজ করি, গানের কাজ করি, ভাস্কর্য, চিত্রকলার কাজ করি, তাদের প্রত্যেকের এমন একটা প্ল্যটফম থাকা উচিত যাতে আমরা ইরেসপেক্টিভ অফ্ এনি পলিটিক্যাল ক্রিড নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে পারি, ভাবের আদানপ্রদান করতে পারি। নিজেদের সৃজন কাজের সঙ্গে পারস্পরিক ইন্টার‍্যাকশন করতে পারি। এই ভিত্তিকে সামনে রেখেই একটা প্রাথমিক পর্যায় সাংস্কৃতিক সমন্বয় সৃজন পর্ব হয়েছিল।"

শিল্পী মহলে রাজনৈতির বিভাজন যে কাম্য নয়, সব শিল্পীর কথাতেই তা উঠে এল বার বার। নাট্যব্যক্তিত্য দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, "সবথেকে বড় কথা হচ্ছে আমাদের বার বার মনে হচ্ছে যে কোনও একটা বিভাজন তৈরি হচ্ছে। সেই বিভাজনটাকে বন্ধ করার জন্য আমরা একটা মুক্তমঞ্চ তৈরি করেছি। যেখানে সর্বস্তরেরে সাংস্কৃতিক কর্মীরা একসঙ্গে সংগঠিত হতে পারবেন এবং নিজেদের ভাবের আদানপ্রদান করতে পারবেন।"

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে উষা গাঙ্গুলি বলেন, "আপনি যদি সংস্কৃতির বিভাজন করেন তাহলে দর্শকের বিভাজন করতে হবে। আমরা কিন্তু নাটকের কর্মী হয়ে না আমাদের দেশকে খণ্ডিত হতে দেখতে চাই, না মানুষকে বিভাজিত হতে দেখতে চাই, না বুদ্ধিজীবীদের বিভাজিতে হতে দেখতে চাই। আমরা এই ইউনিটির ফোর্সটা তৈরি করার জন্য সংস্কৃতি সমন্বয় করেছি।"

.