জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের প্রাচীন চিকিৎসাব্যবস্থা। ভারতের আদি রোগনিরাময় শাস্ত্র। গাছগাছালি, তার লতা-পাতা, শিকড়বাকড় ইত্যাদি নিয়ে পরিপূর্ণ এক ঔষধব্যবস্থা। এ নিয়ে প্রচুর চর্চা, প্রচুর গবেষণা। সেই পথে আমরা পেয়েছি বহু নাম। সেই নামের মধ্যেই বিশেষ এক নাম শিবকালী ভট্টাচার্য। আজ তাঁর জন্মদিন। ১৯০৮ সালের আজকের দিনে ২৮ অগস্ট, তাঁর জন্ম। তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ। তিনি 'আয়ুর্বেদাচার্য' উপাধিতে ভূষিত। ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্টেট আয়ুর্বেদ ফ্যাকাল্টি বোর্ড তাঁকে 'আয়ুর্বেদাচার্য' উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির বার্কলে মেডেল এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দাস আগরওয়ালা পুরস্কারও পেয়েছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Sougata Roy: 'এরপর জুতোপেটা করলে দুঃখ করবেন না...', বিরোধীদের সৌগতর হুঁশিয়ারি, সরব বাম-বিজেপি


এ হেন শিবকালী ভট্টাচার্য জন্মেছিলেন অবিভক্ত বাংলার (বর্তমানে বাংলাদেশ) খুলনায়। বাবা চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকেই, ছোট থেকেই শিবকালী গাছপালার চর্চা শুরু করেছিলেন। পরবর্তী ছাত্রজীবনে অসহযোগ আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে স্থায়ীভাবে কলকাতায় আসেন। অগ্রজ কবিরাজ বিজয়কালী ভট্টাচার্যের উৎসাহে আয়ুর্বেদের প্রতি আকৃষ্ট হন। প্রখ্যাত আয়ুর্বেদবিশেষজ্ঞ শচীন্দ্র বিদ্যাভূষণ, জ্যোতিষ সরস্বতী, নলিনীরঞ্জন সেন প্রমুখের সান্নিধ্য আসেন। পরবর্তীকালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অসীমা চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণুপদ মুখার্জি প্রমুখের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ স্থাপিত হয়। 


মূলত এঁদেরই উৎসাহে ও সহযোগিতায় আয়ুর্বেদশাস্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন শিবকালী। জীবনের বিভিন্ন সময়ে পড়িয়েছেন। টানা পাঁচ বৎসর ভেষজবিজ্ঞানের অধ্যাপনাও করেন। ভেষজ নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন। আর সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞান নিয়েই তাঁর ১১ খণ্ডের 'চিরঞ্জীব বনৌষধি' প্রকাশিত হয়। তাঁর 'আয়ুর্বেদীয় পরিভাষা পরিক্রমা'ও একটি জরুরি কাজ। আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য ৮৪ বছর বয়সে ১৯৯২ সালের ২৮ অগস্টেই প্রয়াত হন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)