৪০ কেজির ডবল নারকেলে পর্যটক টানতে প্রস্তুত শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন

১৭৯৮ সালে জর্জ কিং নামে এক বিজ্ঞানী শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই গাছটি পোঁতেন। তারপর থেকে এই গাছটিতে ফল আনার জন্য চলে নানান গবেষণা। কারণ ১১৯ বছর অন্তর এই গাছটিতে ফুল হয়, আর তাতে যদি পরাগসংযোগ করা যায় তবে হয় ফল। ফুল থেকে ফল হতে সময় লাগে চার বছর। দীর্ঘ গবেষণার পরে ২০০৬ সালে পরাগসংযোগের কাজ শুরু করা হয়।

Updated By: Nov 26, 2017, 06:50 PM IST
৪০ কেজির ডবল নারকেলে পর্যটক টানতে প্রস্তুত শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন

নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও শুনেছেন একটি ফলের ওজন গড়ে ৪০ কেজি বা গাছের এক একটি পাতা লম্বায় ৭ থেকে ১০ মিটার এবং চওড়ায় ৪.৫ মিটার! না কোনও আজগুবি কথা নয়। ২১৯ বছর পরে শুধু এ রাজ্যেই না, এ দেশে প্রথমবার এমন একটি গাছে ফল হয়েছে হাওড়ার আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন বা শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে। তবে ওজনে, দৈর্ঘ্যে বা প্রস্থে এখনই পূর্ণ বিকশিত হয়নি, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সফলভাবে।

চলতি ভাষায় গাছটির নাম- ডাবল নারকেল গাছ। যার বিজ্ঞান সম্মত নাম লোডেসিয়া মালডিভিকা। এই গাছটি সাধারণত পশ্চিম ভারত মহাসাগরের সিসিলাস দ্বীপে দেখা যায়।

ডবল নারকেল।

১৭৯৮ সালে জর্জ কিং নামে এক বিজ্ঞানী শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই গাছটি পোঁতেন। তারপর থেকে এই গাছটিতে ফল আনার জন্য চলে নানান গবেষণা। কারণ ১১৯ বছর অন্তর এই গাছটিতে ফুল হয়, আর তাতে যদি পরাগসংযোগ করা যায় তবে হয় ফল। ফুল থেকে ফল হতে সময় লাগে চার বছর। দীর্ঘ গবেষণার পরে ২০০৬ সালে পরাগসংযোগের কাজ শুরু করা হয়।

অবশেষে ২০১৩ সালে ফোটা ফুলে পরাগ মিলনে সাফল্য আসে। পূর্ব ভারতের একমাত্র জাতীয় উদ্যান হাওড়ার শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনের একটি নারকেল গাছকে কেন্দ্র করে এখন শীতের মরসুমে তাই বেশি পর্যটক টানতে আশায় বুক বাঁধছেন গার্ডেনের কর্তারা।

গাছটির আয়ু এক হাজার বছর। এ বছর শীতে দর্শকদের চোখে গাছ ও তার ফলকে আকর্ষনীয় করে তুলতে এখন নিরলস পরিচর্যায় লেগে পড়েছেন গার্ডেনের কর্মী থেকে কর্তারা।

.