কারাটের সামনেই ইয়েচুরির মতের পক্ষে সওয়াল সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্যদের একাংশ
প্রকাশ কারাটের সামনেই সীতারাম ইয়েচুরির মতের পক্ষে সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্যদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বৃহত্তর বাম জোট নয়, প্রয়োজনে ইস্যুভিত্তিক সমর্থন করা হোক কংগ্রেসকে। সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও এই নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রকাশ কারাটকে। শেষপর্যন্ত এই বিতর্কের মীমাংসার জন্য পার্টি কংগ্রেসের পর প্লেনামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রাজ্য কমিটির বৈঠকেও একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কারাটকে।
ওয়েব ডেস্ক: প্রকাশ কারাটের সামনেই সীতারাম ইয়েচুরির মতের পক্ষে সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্যদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বৃহত্তর বাম জোট নয়, প্রয়োজনে ইস্যুভিত্তিক সমর্থন করা হোক কংগ্রেসকে। সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও এই নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রকাশ কারাটকে। শেষপর্যন্ত এই বিতর্কের মীমাংসার জন্য পার্টি কংগ্রেসের পর প্লেনামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রাজ্য কমিটির বৈঠকেও একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কারাটকে।
এবছর রাজ্যে শাখা স্তরে দলীয় সম্মেলন বন্ধ রাখছে সিপিআইএম। দলের রাজনৈতিক লাইন নিয়ে নিচুতলায় বিতর্ক ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। সম্মেলনের বদলে শুধু বিশেষ অধিবেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সেক্ষেত্রে সম্মেলন শুরু হবে লোকাল কমিটি স্তর থেকে।
দলের নতুন রাজনৈতিক লাইন কী হবে তা নিয়ে সিপিআইএম শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। কিন্তু এই বিতর্ক দলের নিচু তলায় পৌছক, চাইছেন না নেতারা। সেই কারণেই এবার দলের একেবারে নিচুতলায় অর্থাত্ ব্রাঞ্চ কমিটিতে সম্মেলন স্থগিত রাখছে সিপিআইএম। সম্মেলনে সাধারণত দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সিপিআইএম শীর্ষ নেতাদের মত, এমনিতেই সংগঠনের অবস্থা খারাপ, তার ওপর যদি নিচুতলায় রাজনৈতিক লাইন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়, তাহলে তা মারাত্মক আকার নেবে।
যা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে দলীয় সম্মেলনগুলিতে, জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রিত্ব ইস্যুতে। বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌছয় যে শেষপর্যন্ত সিপিআইএম বলতে বাধ্য হয়, ওই বিতর্ক ক্লোজড চ্যাপ্টার।
১৯৯৮ সালের অভিজ্ঞতা থেকেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিট মনে করছে, আলোচনা যদি লোকাল কমিটি স্তর থেকে শুরু হয় তা সামাল দেওয়া সহজ হবে। কারণ লোকাল কমিটির সম্মেলনগুলিতে জেলার নেতারা থাকবেন, যা ব্রাঞ্চ স্তরে কখনই সম্ভব নয়।