ফারাক ৮ বছরের, গুরুর পাশেই ঠাঁই হল শিষ্যের!
কিন্তু দলের সঙ্গে টানা ৪০ বছরের সম্পর্কের সংযোগ শেষ হয়ে যায় ২০০৮ সালে।
![ফারাক ৮ বছরের, গুরুর পাশেই ঠাঁই হল শিষ্যের! ফারাক ৮ বছরের, গুরুর পাশেই ঠাঁই হল শিষ্যের!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/08/13/134739-chobi.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি, চশমা, হাতঘড়ি, কালো পাম্প-শু, ফাউন্টেন পেন, মতাদর্শ এবং আরও অনেক কিছু.... গুরু জ্যোতিবাবুকে মনেপ্রাণে অনুসরণ করতেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে যখন কিছুটা হলেও ফ্যাকাশে হয়েছিল, তখনও তাঁকেই স্মরণ করেছিলেন তিনি।মৃত্যুর পরও তাই গুরুর পাশেই ঠাঁই হল শিষ্যের। এসএসকেএম হাসপাতালে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা নবতিপর কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসুর দেহ পাশেই রাখা হবে প্রয়াত প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে।
সময়টা ছিল ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি। বার্ধক্যজনিত রোগের কাছেই আত্মসমর্পণ করেন কমরেড জ্যোতিবসু। এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে ঠাঁই হয় জ্যোতিবাবুর দেহ। আর আট বছর পর ২০১৮-র ১৩ অগাস্ট, সেখানেই ঠিক তাঁর পাশেই শায়িত থাকবেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘খেয়া’ শূন্য করে চলে গেলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়...দেখুন তাঁর ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ছবি
১৯৬৮ সালে আইনের মারপ্যাঁচ ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঠিক তিন বছর আগে সিপিএমে যোগদান তাঁর। বাবার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনেই তাঁর প্রথম জয়লাভ। এরপর থেকে তাঁর বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন। আর সেই জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই গুরু হিসাবে পরামর্শ নিয়ে গিয়েছিলেন জ্যোতি বসুর সঙ্গে।
আরও পড়ুন: সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ কি নিয়ে যাওয়া হবে আলিমুদ্দিনে?
কিন্তু দলের সঙ্গে টানা ৪০ বছরের সম্পর্কের সংযোগ শেষ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইউপিএ-১ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন বামদলগুলি। কিন্তু সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কারণে ও নিজের মতাদর্শে দলের একেবারে বিপরীত প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সম্পর্কের অবসান সেই থেকে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল তাঁকে বহিষ্কার করে। কিন্তু জ্যোতিবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন তিনি। সোমনাথবাবুর বোলপুরের বাড়িতেও বেশ কয়েকবার গিয়েছেন জ্যোতি বসু।
মৃত্যুর পর এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে জ্যোতি বসুর পাশেই রাখা হবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। তাঁর চোখদুটি নেবে প্রিয়ংম্বদা বিড়লা আই হাসপাতাল। এসএসকেএম হাসপাতালে ত্বক সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।