নিজস্ব প্রতিবেদন:  যে কোনও মূল্যে বাবার প্রাণ বাঁচাতে হবে, প্রথম থেকেই বদ্ধপরিকর ছিল উনিশ বছরের ছেলে। লিভারের অসুখে জর্জরিত বাবা। ডাক্তার বলেছিলেন, প্রতিস্থাপন ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু ডোনার কোথায়? অগত্যা, নিজেই ডোনার হলেন ছেলে। নজির গড়লেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 বৃদ্ধ বয়সে সহায় সম্বলহীন। সন্তান মুখ ফিরিয়েছে। কখনও মারধর। কখনও খেতে না দেওয়া.. অভিযোগ অনেক। এমন খবর আকছার কানে আসে। যে বাবা-মা জন্ম দিয়েছে, মানুষ করেছে, তাকে এত অবহেলা কেন? প্রশ্নের উত্তর মেলে না...তবে বৃহস্পতিবার, এসএসকেএম হাসপাতালে একেবারে অন্য এক ছবি ধরা পড়ল।


আরও পড়ুন- বাংলার অবস্থা দেখে মিষ্টি কথা আশা করেন? আরও কড়া কথা শোনার সহ্যশক্তি বাড়ান, ‘দিলীপেই’ থাকার বার্তা দিলীপের


বাবা রঞ্জিত কুণ্ডুর বয়স ৪৮। লিভারের অসুখে জর্জরিত। প্রায় একবছর ধরে ভুগছেন। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনার কোথায়? বাড়ির বড়রা বারণ করেছিলেন... কে জানে, ভবিষ্যতে ছেলের যদি বড় কোনও সমস্যা হয়? উনিশ বছরের প্রীতম, ওরফে রাজ কোনও কথাই শোনেনি। প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরিজনরা।


বৃহস্পতিবার রঞ্জিতবাবুর লিভার প্রতিস্থাপন করেন ডাক্তার অভিজিত্ চৌধুরী। ছেলের লিভারের একাংশ কেটে বসানো হল বাবার শরীরে। ছেলেই নতুন  জীবন দিলেন বাবাকে। দৃষ্টান্ত গড়লেন।