বউবাজারে ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার জামাতা
সম্পত্তির লোভেই শ্বশুরকে খুন করেছে জামাতা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেল বউবাজারের ব্যবসায়ী নীতীশ জয়সওয়াল খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অমিত চৌধুরী। শ্বশুরকে খুনের জন্য নিজের ৫ পরিচিতকে ২০ হাজার টাকা করে সুপারি দিয়েছিল অমিত। এই ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে খুঁজছে পুলিস।
সম্পত্তির লোভেই শ্বশুরকে খুন করেছে জামাতা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ধরা
পড়ে গেল বউবাজারের ব্যবসায়ী নীতীশ জয়সওয়াল খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অমিত
চৌধুরী। শ্বশুরকে খুনের জন্য নিজের ৫ পরিচিতকে ২০ হাজার টাকা করে সুপারি
দিয়েছিল অমিত। এই ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে খুঁজছে পুলিস।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি দোকানে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বউবাজারের
ব্যবসায়ী নীতীশ জয়সওয়াল। এর পর রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। বউবাজার
থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন। আর ২১
ফেব্রুয়ারি সকালে সোনারপুর খেয়াদার জলা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। প্রাথমিক
তদন্তে পুলিস নিশ্চিত, সম্পত্তির লোভেই নীতীশ জয়সওয়ালকে খুন করেন তাঁর
জামাতা অমিত চৌধুরী।
খুনের ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃত বিশ্বজিত ঘোষ, শঙ্কু
গাঙ্গুলি ও রাজীব ঘোষকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই কাজে
লাগিয়েছিল অমিতই। কুড়ি হাজার টাকা করে অগ্রিমও দেওয়া হয়েছিল। খুনের ঘটনায়
জড়িত আরও দুজনকে খুঁজছে পুলিস। ধর্মতলায় নিজের দোকান থেকেই জামাতা অমিত
চৌধুরীর সঙ্গে শেষবারের জন্য বেরিয়েছিলেন নীতীশ জয়সওয়াল। তাঁকে একটি
গাড়িতে করে কামালগাজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাজীবের ফ্ল্যাটে তাঁকে
খুন করা হয়। তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করতেই নিহত ব্যবসায়ীর
মানিব্যাগটি পাটুলির কাছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না।
পুলিসের জালে ধরা পড়ে গেল অমিত চৌধুরী। যদিও, মিথ্যেভাবে ফাঁসানো হয়েছে
বলে অভিযোগ করেছেন অমিত চৌধুরীর স্ত্রী।