ওয়েব ডেস্ক: কতই বা আর বয়স? ৩০-এর গণ্ঢিও পেরোননি। কেরিয়ারের তুঙ্গে। হঠাত্‍ই ছন্দপতন। অকালে শেষ হয়ে গেল ঝলমলে একটি কেরিয়ার। যে গতির নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন, সেই গতিই কেড়ে নিল প্রাণ। নাহ্, মৃত্যুর আগে শেষ কথা নয়। শেষ টুইটও এটা নয়। কারণ, এই গতিকে ভালবাসেন যিনি, তিনি মাত্র ১০০ কিলোমিটারেই শেষ হয়ে যাবেন! ভাবতে পারছেন না কেউই। গাড়ি এবং গতি.....এটাই ফার্স্ট লাভ সনিকা সিং চৌহানের।তাই তিনিই বলতে পারেন, ভালবাসার জন্য প্রার্থনা নয়, প্রার্থনা গাড়ির জন্য। শনিবারের ভোরে অবশ্য স্টিয়ারিংয়ে তিনি ছিলেন না। টয়োটা করোলা অলটিসে চালকের আসনে সঙ্গী বিক্রম চ্যাটার্জি। এটাই শেষ গাড়ি চড়া সনিকার। শুরুটা অবশ্য অনেকদিন আগে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন সনিকা চৌহানের মৃত্যু, আহত বিক্রম, টয়োটার বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছে বিক্রমের পরিবার


কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লসে পড়াশোনা। সেখান থেকে বেঙ্গালুরুর মাউন্ট কারমেল কলেজ।ছোট থেকেই গান, নাচ, খেলাধুলা এবং ভ্রমণের নেশা। লাক্সারি গাড়ির প্রতি ভালবাসা ছোট থেকেই।কলেজে পড়তে পড়তেই মডেলিংয়ে হাতেখড়ি।কলকাতা ছাড়িয়ে মুম্বইয়ে পা দেওয়া। গ্ল্যামারাস লাইফস্টাইলে একটু একটু করে ঢুকে পড়া।মডেলিং, ফ্যাশন, অ্যাঙ্করিং চলতে থাকে সমান তালে।বেসরকারি চ্যানেলে গাড়ির শো হোক বা কবাডির অ্যাঙ্করিং, পরিচিত মুখ সনিকা সিং চৌহান।২০১৩-য় মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের ফাইনালিস্ট। সেখানে মিস পপুলারের মুকুট মাথায় ওঠে।বেসরকারি চ্যানেলের একটি রিয়েলিটি শোয়ে প্রতিযোগী ছিলেন বিক্রম চ্যাটার্জি। সেই অনুষ্ঠানের অ্যাঙ্কর ছিলেন সনিকা। দুজনে খুব ভাল বন্ধু।শনিবার পার্টি সেরে সেই বন্ধুর পাশে বসেই ফিরছিলেন। কিন্তু গতির কাছে হেরে গেল জীবন। মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, গাড়ির স্টিয়ারিং হোক বা চালকের পাশে, আর কোনওদিন বসা হবে না সনিকা সিং চৌহানের।


আরও পড়ুন  গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার টেলি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা বিক্রম, মৃত্যু মডেলের