বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার জন্য স্বশাসন দরকার, জানালেন যাদবপুরের পদত্যাগী উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আরও স্বশাসন দরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শিক্ষার উৎকর্ষকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বলছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগী উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাবেন শিক্ষাবিদরাই। এই যুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি থেকে শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের বাদ দিয়েছে সরকার। তারপরও, সত্ভাবে কাজ করতে গিয়ে কেন বাধার সম্মুখীন হতে হল যাদবপুরের বিদায়ী উপাচার্যকে? বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আরও স্বশাসন দরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শিক্ষার উতকর্ষকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বলছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগী উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য।

Updated By: Oct 23, 2013, 07:35 PM IST

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আরও স্বশাসন দরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শিক্ষার উৎকর্ষকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বলছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগী উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাবেন শিক্ষাবিদরাই। এই যুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি থেকে শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের বাদ দিয়েছে সরকার। তারপরও, সত্ভাবে কাজ করতে গিয়ে কেন বাধার সম্মুখীন হতে হল যাদবপুরের বিদায়ী উপাচার্যকে? বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আরও স্বশাসন দরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শিক্ষার উতকর্ষকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বলছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগী উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে থাকতে পারবেন না শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা। ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করে নতুন সরকার। সরকারের যুক্তি ছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পড়ুয়াদের মতামত দেওয়ার জায়গা নেই। আর, দেশের মধ্যে, দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চলে তা জানেন অধ্যাপকরা। শিক্ষাকর্মীদের সেই অভিজ্ঞতা নেই।
বহু ক্ষেত্রে নেই সেরকম শিক্ষাগত যোগ্যতাও। তাই তাঁরাও পরিচালন সমিতির সদস্য হতে পারবেন না। শিক্ষাবিদরাই বিশ্ববিদ্যালয় চালাবেন। সে দিন এই ছিল সরকারের যুক্তি। তাহলে, কেন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, যাদবপুরের উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য পদত্যাগে বাধ্য হলেন?

রাজ্যে নতুন সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মী ও ছাত্র সংগঠনে শাসকদলের প্রভাব সেভাবে ছিল না। সেই কারণেই
কি শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল? শিক্ষাবিদরাই বিশ্ববিদ্যালয় সামলাবেন, এই যুক্তি কি ছিল নেহাতই লোক দেখানো ? বিরুদ্ধ মতকে হঠিয়ে দিয়ে শাসকদলই কি কৌশলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে? যাদবপুরের উপাচার্যের পদ থেকে শৌভিক ভট্টাচার্যের ইস্তফা তুলে দিয়ে গেল এইসব প্রশ্ন।

.