জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকা তাঁর নয়। এনিয়ে এবার পার্থকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। জি ২৪ ঘণ্টাকে আজ কুণাল বলেন, উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল টাকা কার তা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আর পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ই বলবেন। পার্থবাবুরা নিজেরাই ঠিক করে নিয়ে বলুন। এনিয়ে আমার বলার কিছু নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কে গত কয়েক দিনের পর্যবেক্ষণের পর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার সম্পর্কে, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার তা প্রকাশ্যেও জানিয়ে দিয়েছেন। যদি কোনও ব্যক্তি নিরাপরাধ হন বা যদি কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয় তাহলে সাধারণ নিয়ম বলে প্রথম দিন প্রথম সুযোগে তিনি এটাই জোরে বলবেন যে আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমি নির্দোষ। উনি মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেন। অন্যান্য বিষয়ে কথা বললেন। আর দল ব্যবস্থা নেওয়ার পর ওঁর মনে হচ্ছে এটা ষড়যন্ত্র, টাকা ওঁনার নয়। দুদিন বাদে এও বলতে পারেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে উনি চেনেন না। উনি কাকে চেনেন, কার টাকা, কার বাড়িতে যেতেন,কার সঙ্গে মিলে সম্পত্তি কিনেছেন এসব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলতে পারবেন। প্রথমে কেন বলেননি সেটা ওঁর ব্যাপারে। এখন কেন বলছেন সেটাও ওঁর ব্যাপার। অভিযুক্ত হিসেবে কোর্টে তাঁর অনেক কিছুই বলা অধিকার রয়েছে। এনিয়ে আমার বা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য নেই।


রবিবার সিআরপিএফের কড়া নিরাপত্তার মুখে জোকার ইএসআই হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আনা হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। হাসপাতালে ঢোকার মুখে তাঁকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, ধাপে ধাপে উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল টাকা কার? পার্থবাবু বলেন, ওই টাকা আমার নয়। শরীর কেমন আছে জিজ্ঞাসা করা হলে পার্থ বলেন, শরীর একেবারেই ভালো নেই। সাংবাদিকরা ফের প্রশ্ন করেন, তাহলে ওই টাকা কার? পার্থ বলেন, আমার কোনও টাকা নেই। কেউ কি আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে? হাঁ ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সময় এলেই বুঝতে পারবেন।


এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসছে। সেটি হল, তদন্তকারীরা মনে করছেন বিপুল টাকা পাচার করা হয়েছে বাংলাদেশে। পাশাপাশি সেখানে সম্পত্তিও কেনা হতে পারে। বারাসতের একটি টেক্সটাইল কোম্পানির মাধ্যমে ওই টাকা সীমান্তপার করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ওই টেক্সটাইল কোম্পানির মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তার মাধ্য়মেই বাংলাদেশে সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্য়াটে যখন তল্লাশি হয় সেই সময় সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বিপুল টাকা পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে এবং সেখানে সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। এনিয়ে বিস্তারিত জানতে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য নিচ্ছে ইডি। ওইসব টেক্সটাইল কোম্পানিগুলিকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছে বারাসতের কোম্পানিগুলি কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রচুর শাড়ি কিনতেন পার্থ। এত শাড়ি নিয়ে তিনি কী করতেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখন নেই। 


আরও পড়ুন-সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, শিবসেনা মুখপাত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)