অনুব্রতকে ফের ক্লিনচিট দিল রাজ্য সরকার
পাড়ুই হত্যা মামলায় অনুব্রতকে আবার ক্লিনচিট দিল রাজ্য সরকার। আটই জুলাই রাজ্য সরকার আদালতে যে হলফনামা পেশ করতে চলেছে, সেখানে মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের নাম রাখা হয়নি।
পাড়ুই হত্যা মামলায় অনুব্রতকে আবার ক্লিনচিট দিল রাজ্য সরকার। আটই জুলাই রাজ্য সরকার আদালতে যে হলফনামা পেশ করতে চলেছে, সেখানে মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের নাম রাখা হয়নি। উল্টে রাজ্যের হলফনামায় সিটের তদন্তের ভূয়সী প্রশংসা করে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই আচরণে ক্ষুব্ধ নিহত সাগর ঘোষের পরিবার।
আদালতের ভর্তসনা, সমালোচনা, বিতর্ক যতই তাড়া করুক না কেন, পাড়ুই কাণ্ডে রাজ্য সরকার যে মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই রয়েছে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সরে দাঁড়ানোর পর, মামলা চলছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে।
------
আটই জুলাই রাজ্য সরকার যে হলফনামা জমা দেবে, তাতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামই রাখা হয়নি।
অথচ ঘটনার পরে পাড়ুই থানায় নিহত সাগর ঘোষের পরিবারের তরফে যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে।
অনুব্রতর নাম বাদ দেওয়ার পাশাপাশি, প্রয়োজনীয়তাও খারিজ করা হয়েছে রাজ্যের হলফনামায়। সিটের অন্যতম সদস্য ডিআইজি সিআইডি শঙ্কর প্রসাদ ভট্টাচার্য হলফনামায় লিখেছেন,
বিচারপতি তদন্তভার তুলে দেওয়ার পর সিট ভালো কাজ করছে এখনও পর্যন্ত পাড়ুইকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন সাতজন।
ভগীরথ ঘোষ, সুব্রত পালের মতো অন্য অভিযুক্তরা আত্মসমর্পণ করেছেন। মামলার আবেদনকারী নেপাল কৃষ্ণ ঘোষের সব আবেদন শোনা হয়েছে। তাই অন্য কোনও আবেদন শোনা উচিত্ নয়।
এরপরই হলফনামায় ডিআইজি সিআইডির দাবি, যেহেতু সিট ভাল কাজ করছে, তাই অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার হাতে পাড়ুই হত্যা মামলার দায়িত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পাড়ুই হত্যা মামলায় রাজ্য বারবার এভাবে অভিযুক্তের পাশে দাঁড়ানোয় ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবার।
পাড়ুই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় এই মামলাকে ঘিরে রাজ্যের মনোভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এজলাস বদলানোর পরেও অটুট সেই মনোভাব। তার জোরেই হলফনামায় অনুপস্থিত অনুব্রত।