কড়া শাস্তির দাওয়াই, রাজ্যে গণপিটুনি রুখতে নয়া আইন আনছে সরকার
জেলায় ও কমিশনারেটে তৈরি করা হচ্ছে টাস্ক ফোর্স।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপ্রহার আটকাতে রূপরেখা তৈরি নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনা হবে বিল। আগামিকাল অথবা শুক্রবার বিধানসভায় আসতে চলেছে এই বিল। রাজ্যে গণপ্রহার আটকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। আসছে নয়া আইন।
সূত্রে খবর, জেলা পুলিশ সুপারের আওতায় ও কমিশনারেটগুলিতে এমন সমস্যা মোকাবিলার জন্য পৃথক নোডাল অফিসার থাকবেন। পাশাপাশি, জেলায় ও কমিশনারেটে তৈরি করা হচ্ছে টাস্ক ফোর্স। যারা এই গণপিটুনির বিষয়ে নজরদারি চালাবে। কোনও অঞ্চলে গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে থাকলে বা এরকম কিছু আশঙ্কা থাকলেই সেই অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
জানা যাচ্ছে, বিলে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কড়া শাস্তির কথা থাকছে। যদি গণপ্রহারে আহত হয়, তাহলে যে বা যারা করবে তাদের ৩ বছরের জেল এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। গুরুতর আহত হলে অপরাধীদের যাবজ্জীবন বা ১০ বছরের কারাবাস ও ২৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আর গণপিটুনিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সশ্রম যাবজ্জীবন ও ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আরও পড়ুন, আদিবাসী ঘরে চা পান 'দিদি'র, মেটালেন খুদেদের খেলার মাঠের আবদারও, বৈঠক সেরে জনসংযোগে মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, রাজ্যে সম্প্রতি গণপিটুনির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ছেলেধরা গুজবকে কেন্দ্র করে গণপিটুনি, চোর সন্দেহে গণপিটুনি প্রভৃতি বিভিন্ন ঘটনা সামনে এসেছে। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। যেখানে ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। খাস কলকাতায় কাশীপুর, এমনকি কালীঘাটেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। আর তারপরই রাজ্যে গণপিটুনি রুখতে নবান্ন বিল আনার কথা ভাবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গণপিটুনি প্রসঙ্গে ২০১৮-র ১৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সব রাজ্যকে আইন তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। রাজস্থান সরকার ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে গণপিটুনি আইন করেছে। এবার সেই পথে হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ।