বন্দিমুক্তি নিয়ে আশাভঙ্গের অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে
নতুন সরকার আসার পরে বহু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। আশাভঙ্গের কথা বলেছেন অনেকেই। জেলবন্দিদের ছাড়ার ব্যাপারে ক্ষমতায় এসেই বন্দিমুক্তি রিভিউ কমিটি তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হল। সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ বন্দিও ছাড়া পাননি।
নতুন সরকার আসার পরে বহু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। আশাভঙ্গের কথা বলেছেন অনেকেই। জেলবন্দিদের ছাড়ার ব্যাপারে ক্ষমতায় এসেই বন্দিমুক্তি রিভিউ কমিটি তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হল। সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ বন্দিও ছাড়া পাননি।
মে মাসে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে এসেছিল। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ২০১১-র ৪ জুন তৈরি হয়েছিল বন্দিমুক্তি রিভিউ কমিটি। প্রাক্তন বিচারপতি মলয় সেনগুপ্তর নেতৃত্বে ১৩ জনের কমিটি গঠিত হয়েছিল। প্রথমে এই কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। এই ৩ মাসে ৭৮ জন জেলবন্দিকে ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল কমিটি। তাঁদের মধ্যে ৫২ জনের নাম গ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তি রয়েছে বলে সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় চণ্ডী সরকার ও প্রদীপ চ্যাটার্জির নাম। অর্থাত্, সব মিলিয়ে ৫০ জনকে ছাড়ার প্রস্তাব গ্রহণ করে সরকার। এঁদের মধ্যে ৭ জন কেএলও এবং ৪৩ জন গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনকারী। মাওবাদী সন্দেহে ধৃত একজনেরও ঠাঁই হয়নি এই তালিকায়। যাঁরা ছাড়া পেয়েছেন তাঁরাও জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। ৭ জন কেএলও বন্দির মধ্যে মাত্র ৪ জন ছাড়া পেয়েছেন। বাকি ৩ জনের কাগজপত্র হারিয়ে গেছে বলে তাঁরা মুক্তি পাননি। গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনে ধৃত মোট ৪৩ জনের মধ্যে মুক্তি মেলেনি ২৩ জনেরই।
অর্থাত্, ৫০ জনের মধ্যে মুক্তি পেয়েছেন মাত্র ২৪ জন। তারপর, বন্দিমুক্তি রিভিউ কমিটির সময়সীমা ৬ মাস বাড়ানো হয়। নতুন করে সবমিলিয়ে ৯০ জনের মুক্তির প্রস্তাব দেয় কমিটি। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরের বেশকিছু মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে এই বন্দিমুক্তি রিভিউ কমিটির প্রস্তাব অনুসারে। কিন্তু, বাকিদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জামিনই মিলেছে। মামলা ওঠেনি। এমনকী, মাওবাদীদের ক্ষেত্রে রাজবন্দির মর্যাদা পাওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেছেন সরকারি আইনজীবীরা। বন্দিমুক্তি নিয়ে নতুন সরকার আশার আলো দেখালেও কমিটির মেয়াদ শেষে অভিযোগ উঠেছে আশাভঙ্গের।