পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি পদ ফিরছে রাজ্যে
ব্রিটিশ আমলে থাকা পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি পদ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমান মর্যাদা সম্পন্ন হবেন এই পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিরা। বিধানসভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিস এই বিলটি বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ করা হবে।
ব্রিটিশ আমলে থাকা পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি পদ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমান মর্যাদা সম্পন্ন হবেন এই পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিরা। বিধানসভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিস এই বিলটি বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ করা হবে।
বিধানসভায় যে `দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিস বিল` আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। কী আছে সেই বিলে? বিলের বয়ান অনুযায়ী পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি এই পদটি ফের ফিরিয়ে আনছে রাজ্য সরকার। কতজন এই পদে থাকবেন সেই সংখ্যা স্থির করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কী দায়িত্ব হবে পার্লামেন্টারি সেক্রেটারির? বিলের বয়ান অনুযায়ী, রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমমর্যাদা সম্পন্ন হবেন এই পদের অধিকারীরা। মন্ত্রী এবং সচিবদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বে থাকবেন পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিরা।
কিন্তু কী সুযোগ-সুবিধা এই বিলের? রাষ্ট্রমন্ত্রীরা যে বেতন, ভাতা এবং সুযোগ পান তাই পাবেন এঁরা। প্রত্যেকের জন্য আলাদা অফিস থাকবে। লালবাতি দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। বিধানসভার নথি বলছে ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ আমলে এই পদ ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে কোনও রাজ্যেই এই পদ বহাল রাখা হয়নি। ২০০৭ সালে অরুণাচল প্রদেশ এই পদ নিয়ে আসার জন্য বিল পেশ করেছিল। বুধবার এই প্রস্তাবিত বিলটি বিধায়কদের হাতে তুলে দেওয়ার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ৪৪ জনের বেশি মন্ত্রীর পদ তৈরি করা যায় না। তাই এই বিল এনে নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিল নিয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজী হননি তৃণমূলের বিধায়করা। বিলের বয়ান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিলটি পেশে করবে মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কেন এই বিল আনা হল তার প্রশাসনিক ব্যাখ্যাও পাওয়া যাবে তখনই।