State Song Controversy: ফিরে এলেন রবীন্দ্রনাথ, বাধ্যতামূলক রাজ্যসঙ্গীতে 'অবিকৃত' বিশ্বকবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু...', এই গানটাকে 'রাজ্য সঙ্গীত' করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব পাশ হয় বিধানসভাতে। শুধু 'রাজ্য সঙ্গীত' নয়, পয়লা বৈশাখকে 'রাজ্য দিবস' ঘোষণা করা হয়েছে।
![State Song Controversy: ফিরে এলেন রবীন্দ্রনাথ, বাধ্যতামূলক রাজ্যসঙ্গীতে 'অবিকৃত' বিশ্বকবি State Song Controversy: ফিরে এলেন রবীন্দ্রনাথ, বাধ্যতামূলক রাজ্যসঙ্গীতে 'অবিকৃত' বিশ্বকবি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/12/31/453686-statesong.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে এক মিনিট ৫৯ সেকেন্ড ধরে গাইতে হবে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ (State Anthem) বাংলার মাটি বাংলার জল। মুখ্যসচিব হিসেবে তাঁর শেষদিনে নতুন নির্দেশিকা জারি করে গেলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আর সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অপরিবর্তিত থাকল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কথা। পাশাপাশি, প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ ‘শ্রদ্ধা এবং মর্যাদা’-র সঙ্গে ‘রাজ্য দিবস’ (State Day) পালনের কথাও বলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু...', এই গানটাকে 'রাজ্য সঙ্গীত' করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব পাশ হয় বিধানসভাতে।
মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের গরিমা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের কথায় রেখে রাজ্য দিবস ও রাজ্য সঙ্গীত-এর প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে। পয়লা বৈশাখকে রাজ্য সঙ্গীত-এর প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস হিসেবে পালিত হবে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বাংলার মাটি, বাংলার জল'-কে রাজ্য সঙ্গীত ঘোষণা করা হয়েছে।
এবার থেকে রাজ্য সঙ্গীতের পর গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত। রাজ্য সঙ্গীত দাঁড়িয়ে গাওয়া বাধ্যতামূলক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একাধিক অনুষ্ঠানে রাজ্য গান গেয়েছেন। স্পেনে শিল্প সম্মেলনে গিয়েও রাজ্য সঙ্গীত গান মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি ২৯তম চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনেও গাওয়া হয় গানটি। প্রসঙ্গত, সেখানেই প্রথমবার রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে গানটি ব্যবহার করা হয়।
সেখানেই শোনা যায়, গানটিতে বাঙালির বদলে বাংলা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যার জেরে বিতর্ক দানা বাঁধে। সমালোচিত হয় রাজ্য সরকার। সেই নিয়ে যদিও প্রশাসনিক স্তরে কখনওই কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তারপর বছরের শেষ দিনে নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে অবিকৃত রবীন্দ্র রচনাটি প্রকাশ করে বিতর্কে জল ঢালল নবান্ন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)