মেট্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে নোটিস পাঠাল রাজ্য

এছাড়াও এদিনের বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরে বড় আগুন লাগলে দ্রুত কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সে নিয়ে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাতে দুদফতরের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রেখে কাজ করা যায়।

Updated By: Dec 28, 2018, 06:37 PM IST
মেট্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে নোটিস পাঠাল রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন:  মেট্রোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিল রাজ্য।  বৃহস্পতিবার কলকাতা মেট্রোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠাল দমকল দফতর। লালবাজারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গাফিলতির অভিযোগে মেট্রোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

এছাড়াও এদিনের বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরে বড় আগুন লাগলে দ্রুত কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সে নিয়ে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাতে দুদফতরের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রেখে কাজ করা যায়।

গ্রীন চ্যানেলের মাধ্যমে যাতে দমকলের গাড়ি দ্রুত পৌঁছতে পারে, সেনিয়ে কথা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দলীয় কর্মীদের, কেষ্টর গড়ে চরমে বিজেপির কোন্দল

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মেট্রোয় আগুন লাগার  ঘটনায় কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীর অভিযোগ, প্রায় ২০ মিনিট দমবন্ধ অবস্থায় টানেলের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। কোনওমতে মেট্রোর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, কেউ ধরেননি ফোন। কোনওবার ফোন কেটে দেওয়া হয়েছে। শেষমেশ জানলার কাচ ভেঙে কোনওভাবে কয়েকজন যাত্রী ৭-৮ ফুট নীচে লাফ দিয়ে টানেল ধরে হেঁটে আসেন। কিন্তু বেশিরভাগই পারেননি।

দমবন্ধ কালো ধোঁয়া আর আতঙ্কে যেন  তখন নরকদর্শন হচ্ছে অভিশপ্ত দমদমগামী সেই মেট্রোর যাত্রীদের। যাত্রীদের দাবি, প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার মত সময়ে তাঁরা সেই বিভীষিকার মধ্যে কাটিয়েছেন। যদিও যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ২০ মিনিটেই উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। যদিও যাত্রীদের পাল্টা দাবি, ২০ মিনিট ধরে জানলা কাচ ভাঙেন তাঁরা। তারপর নিজেরাই বেশ কয়েকজন টানেল ধরে এগিয়ে আসতে থাকেন।

এবিষয়ে মেট্রোর সিপিআরও ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, "হেল্পলাইন নম্বর ফোন করা হলে, সেই ফোন ধরা হয়। ঘটনার সময়ও ফোন ধরা হয়েছিল। যাত্রীদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আশ্বস্ত করা হয়েছিল, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা এতটাই আতঙ্কিত ছিলেন, যে তা শুনতেই পারেননি।"

 

.