অর্ণবাংশু নিয়োগী: ধরনা চলছে ধর্মতলায়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার কর্মবিরতি ডাক দিল রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ২৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। কবে? ১ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাজ্যজুড়ে স্কুল, হাসপাতাল ও আদালত-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করা হবে দুপুর ২ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্র ও রাজ্যের ডিএ-র ফারাক এখন ৩৫ শতাংশ। কেন? মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, 'হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে'। পরবর্তী শুনানি মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে।


এদিকে চুপ করে বসে নেই সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে জোট বেঁধেছে ২৮ সংগঠন। পোশাকি নাম, ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ'। বিধানসভা অভিযানের পর ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছেন তাঁরা। সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই এদিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতির ডাক দিলেন যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।


আরও পড়ুন: Exclusive: কুন্তল ঘোষের বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড, OMR শিট! তাজ্জব ইডি-র আধিকারিকরা


এর আগে, ৩ মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এমনকী, সেই নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মচারীদের ডিএ মেটানো হয়নি। এরপর আদালত অবমাননার অভিযোগে যখন ফের হাইকোর্টের  দ্বারস্থ  ইউনিটি ফোরাম নামে একটি সংস্থা, তখন পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য। 


বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। এই বঞ্চনা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না'। তাঁর আশ্বাস, 'সরকারের পরিবর্তন হলে বিজেপি কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ডিএ-র ব্যবস্থা করবে'। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া, '১ তারিখে মাইনে, সময়মতো পেনশন, মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি, সবরকম সুবিধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। ফলে সহজেই অনুমান করা যায়, সুযোগ থাকলে এই দাবিও মেনে নিতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।


 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)