রাজ্যজুড়ে আজ ছাত্র ধর্মঘট, রাস্তা অবরোধ
পুলিসের হেফাজতে ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় আজ সকাল এগারোটা থেকে এগারোটা পনেরো পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। আজই, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি রাজ্যজুড়ে ওপেন কনভেনশনের ডাক দিয়েছে। সেই কনভেনশন থেকেই সুদীপ্ত মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হবে।
ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্ত। তাঁর মৃত্যুর জেরে মঙ্গলবার থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন ছাত্র-যুবরা। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই নেতৃত্ব। পুলিস হেফাজতে ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ ছাত্র ধর্মঘটে ভালো সাড়া মিলেছে বলসি দাবি এসএফআই নেতৃত্বের।
পুলিসের হেফাজতে ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে সামিল গোটা রাজ্য। এগারোটা থেকে সোয়া এগারোটা পর্যন্ত যুবদের ডাকা অবরোধে স্তব্ধ হয়ে যায় যানবাহন। বামেদের ডাকে বারো ঘণ্টার ধর্মঘটে টালিগঞ্জ, গড়িয়া, ঢাকুরিয়ায় বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকানবাজারই।
ছাত্র ধর্মঘটের জেরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতার কয়েকটি কলেজে। দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় আশুতোষ কলেজে। এসএফআইয়ের অভিযোগ, কলেজে ফর্ম ফিলআপ করার শেষদিন শনিবার হলেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ মিলিতভাবে রটিয়ে দেয় বৃহস্পতিবারই শেষদিন। তৈরি হয় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। এসএফআই কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধেও। উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও।
ধর্মঘট বানচালের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতৃত্ব।
ছাত্রধর্মঘট উপেক্ষা করে কলকাতার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ছাত্রদের হাজিরার হার ছিল অন্যান্যদিনের তুলনায় অনেকটাই কম।
পুলিসের হেফাজতে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে টালিগঞ্জ, গড়িয়া, যাদবপুর ও ঢাকুরিয়ার ধর্মঘটও ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকানবাজার। তবে বামফ্রন্টের ডাকে বারো ঘণ্টার ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল পরিবহণ এবং জরুরি পরিষেবাকে।
এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে প্রতিবাদ মিছিল করেন আইনজীবীরা।
শুধু একটা দু'টো মিছিল নয়। সুদীপ্তর মৃত্যুর পর মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল গোটা রাজ্যজুড়ে। বৃহস্পতিবারও মিছিল-অবরোধ-ধর্মঘটের মধ্যযে দিয়ে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত।