দশদিনেই ডিগবাজি সুদীপ্ত সেনের
মাত্র এক মাস দশ দিনের ব্যবধানে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেল সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের বয়ান। যে সিবিআইএয়ের উপর ভরসা করেই চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত সেন, সেই সিবিআই তদন্তেই অনাস্থা প্রকাশ করে আদালতে হলফনামা দিলেন সুদীপ্ত সেন।
মাত্র এক মাস দশ দিনের ব্যবধানে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেল সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের বয়ান। যে সিবিআইএয়ের উপর ভরসা করেই চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত সেন, সেই সিবিআই তদন্তেই অনাস্থা প্রকাশ করে আদালতে হলফনামা দিলেন সুদীপ্ত সেন।
সবমিলিয়ে সারদাকর্তার এই ডিগবাজি নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে। ছয় এপ্রিল, ২০১৩, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে লেখা চিঠিতে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন লিখেছিলেন অন্য কোনও ব্যক্তি বা তদন্তকারী সংস্থার ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। কিছু ভণ্ড মানুষ রয়েছেন। পুলিস, প্রশাসন, রাজনীতির উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে এদের যোগসাজশ রয়েছে। তাঁর নাম করে লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এঁরা। সুদীপ্ত সেনের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর পথ নেই। মানসিক বা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে এই চিঠি তিনি লিখছেন না।
অথচ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে তিনি বলছেন অর্থাৎ এখন তিনি তাঁর এই দায় বা দেনা থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। কারুর ওপর দোষারোপ না করেই।
সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায় চিঠি দিয়ে তিনি বলেছেন তিনি সুদীপ্ত সেন, নৃপেন্দ্র নারায়ণ সেনের পুত্র । বিধাননগরের মিডল্যান্ড পার্কে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় তাঁর অফিস রয়েছে।
দুর্নীতিদমন শাখায় যে ঘটনার তদন্ত দাবি করে চিঠি দিচ্ছেন সেই সুদীপ্ত সেন কার্যত যেন ডিগবাজি খাচ্ছেন। আদালতে হলফনামা দিয়ে বলছেন কেন সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই।
হলফনামায় সুদীপ্ত সেন বলছেন রাজ্যের অধীন সিট বা স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিমে যে আইপিএস অফিসাররা রয়েছেন সেই পদ মর্যাদার অফিসাররাই থাকেন সিবিআইতেও। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর প্রয়োজন নেই।
মাত্র একমাস দশ দিনে কী এমন ঘটনা ঘটল যেতে নিজের ছয়ই এপ্রিলের এবস্থান থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেলেন সুদীপ্ত সেন? মামলার শুরু থেকেই যেভাবে রহস্য দানা বেধেছিল। সিবিআই তদন্ত না চেয়ে আদালতে হলফনামা দাখিল করে সেই রহস্যই জিইয়ে রাখলেন সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন।