পিয়ালি মিত্র: গত কয়েক বছরে একের পর এক ঘটনায় দেখা গিয়েছে ভিন রাজ্য থেকে সুপারি কিলার বা দুষ্কৃতিদের ভাড়া করে এনে অপরাধ সংগঠিত করার প্রণবনতা বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মণীশ শুক্লা খুন


খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয় মণীশকে। তদন্তে জানা যায় দুস্কৃতী দিয়ে ভাডা করে আনা হয়েছিল পাটনা থেকে। পাটনা জেলে বসে এক কুখ্যাত দুষ্কতী সুপারি কিলার সরবরাহ করেছিল। এমনকী খুন ব্যবহত কারবাইনও আনা হয়েছিল বিহার থেকে। এখানে লক্ষ টাকার ডিল হয়।


রাজু ঝা


কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনেও গ্রেফতার হয় ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীরা। ঝাড়খন্ড থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল তাদের।


২০২১ সালে চন্দননগরে একটি ঋণদানকারী সংস্থাতে এক কোটি টাকার ডাকাতি হয়। বিহারে বৈশালি থেকে আসে এসে ডাকাত দল। বিহারের জ্যাকি নামে এক হ্যান্ডলার এই গ্যাং পরিচালনা করে। সম্প্রতি তাদের যাবজ্জীবন সাজা হয়।


সম্প্রতি রাণাঘাট ও পুরুলিয়াতে প্রায় একই সময় একটি স্বর্ণ বিপণীতে ডাকাতি হয়। সেই ঘটনাতেও উঠে আসে ভিন রাজ্যের যোগ।


আরও পড়ুন: Dhupguri By-Poll: চিঠি-পাল্টা চিঠিতে ঝুলেই রইল ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণ!


২০২১ সালে রানিগঞ্জের এক কয়লা ব্যবসায়ী অফিসে মারধর করে ৫০ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ধরা পড়ে ঝাড়খন্ডের কুখ্যাত দুষ্কৃতি আমন সাউ। ঝাড়খন্ডের জেলে বসে পশ্চিমবঙ্গ সহ আশেপাশের রাজ্যে তোলাবাজির রাকেট চালাতো আমন সাউ।


একটা সময় ছিল যখন বিহার ঝাডখন্ড সুপারি কুখ্যাত সুপারি কিলারদের অনেক বেশি বাড়বাড়ন্ত ছিল। একজনকে খুন করতে ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিত সুপারি কিলার। এখন সেই কুখাত সুপারি কিলারদের অনেকে হয় জেলবন্দী, না হলে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ঠিক। তবে সুপারি কিলিং-এর ব্যবসা বন্ধ হয়নি।


পুলিস সূত্রে খবর বিহার এর নালন্দা, বৈশালী, পটনা, গয়াতে ১৫-২০টা গ্যাং রয়েছে। পটনার সুবোধ সিংহ হোক বা কুখাত মোহম্মদ সাহাবুদ্দিন, এখনও জেলে বসে এই র‍্যাকেট চালায় বলে অভিযোগ। ঝাড়খন্ড ধানবাদ সহ একাধিক জায়গা রয়েছে এমন একাধিক গ্যাং।


আরও পড়ুন: Jadavpur University: যাদবপুরে ইসি বৈঠকে র‌্যাগিং প্রসঙ্গ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত!


পুলিস সূত্রের খবর, মূলত কনট্রাক্ট কিলিং-এর সঙ্গে যুক্ত লোকেরা শ্যুটার হিসাবে এখন কাজে ব্যবহার করছে অল্প বয়সী যুবকদের। যাদের পুরনো অপরাধের রেকর্ড কম। একদিকে দারিদ্র অন্যদিকে অল্প সময় টাকা অর্জন করার নেশা থেকে কনট্রাক্ট কিলিং-এর কাজে ঝুঁকছে অল্প বয়সী যুবকরা।


এরা মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একজনকে খুন করতে রাজি হতে যাচ্ছে তারা।


কী ভাবে কাজ করে সুপারি গ্যাং?


পুলিস সূত্রে খবর, এক্ষত্রে মূল কাজ করে মিডল ম্যান। মিডিল ম্যানের মাধমে কন্ট্রাক্ট পাওয়ার পর কন্ট্রাক্ট কিলার তার হিটম্যানদের টিম তৈরি করে। অর্থাৎ কোন কাজে কতজন লাগবে তা স্থির হয়। এরপরে টার্গেটের ছবি পাওয়ার পরে আগে থেকে পৌঁছে গিয়া নজর রাখতে শুরু করে শ্যুটার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হিটমানদের অস্ত্র সাপ্লাই করে কন্ট্রাক্টর নিজে। তারপর প্ল্যান এক্সিকিউট করার পর নিজের নিজের এরিয়াতে ফিরে আসে হিটমান।  


পুলিস সূত্রের খবর বিহারের গ্রুপগুলো পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ঝাড়খণ্ডে কাজ করে। আবার ঝাড়খণ্ডের গ্যাং বিহার-পশ্চিমবঙ্গে কাজ করে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)