নন্দীগ্রামের নির্বাচন নিয়ে মামলায় 'সুপ্রিম' ধাক্কা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, এই মুহূর্তে কলকাতা হাই কোর্টের যে পরিবেশ তা শুনানির জন্য উপযুক্ত নয়। বিচারকদের উপর ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ হচ্ছে। তারা তীব্র সমালচনার মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর উপর ভিত্তি করেই তিনি দাবি করেন যে মামলা অন্যত্র সরানো হোক।
![নন্দীগ্রামের নির্বাচন নিয়ে মামলায় 'সুপ্রিম' ধাক্কা শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের নির্বাচন নিয়ে মামলায় 'সুপ্রিম' ধাক্কা শুভেন্দুর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/02/388079-suvendu-supreme.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের একবার গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দিগ্রাম মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলল শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে যে হাই কোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে এবং হাই কোর্টের উপর মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এমন্টাই মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর আর্জিতে স্য দিয়ে নির্দেশ দিতে নারাজ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
শুভেন্দু অধিকারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার দাবি ছিল যেভাবে কলকাতা হাই কোর্টে নন্দিগ্রামের মামলা চলছে, অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের গণনার পরেই কোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের ভোট গণনায় বেশ কিছু কারচুপি হয়েছে এবং এই ভোটে তাঁকে জোর করে হারিয় দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। একটি সময় বিচারক নিজে থেকেই মামলা থেকে সরে যান। সেই ঘটনার উল্লেখ করে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, এই মুহূর্তে কলকাতা হাই কোর্টের যে পরিবেশ তা শুনানির জন্য উপযুক্ত নয়। বিচারকদের উপর ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ হচ্ছে। তারা তীব্র সমালচনার মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর উপর ভিত্তি করেই তিনি দাবি করেন যে মামলা অন্যত্র সরানো হোক।
জাস্টিস ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এবং এই ক্ষেত্রে তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব রকম ক্ষমতা রয়েছে।
আদালতে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের পক্ষে আইনজীবী অভিশেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, বিচারকের মামলা থেকে সরে যাওয়া একেবারেই সম্পর্কহীন। এবং বিচারপতি এই পর্যায়ে কাউকে স্বাধীনতা না দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন। বিচারপতি হরিশ সালভেকে আরও বলেন যে তিনি এবং সাক্ষীরা নিরাপত্তা চাইলে তা তাঁরা পেতে পারেন। এরপরেই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হলেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে গণনায় কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগে ১৭ জুন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই পিটিশন মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। মামলা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় অন্য বেঞ্চে সরানোর আর্জি করেন তিনি। বিচারপতি কৌশিক চন্দকেও চিঠি দেন এই বিষয়ে। এরপর নন্দীগ্রাম মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি চন্দ।