জাঠায় হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ বিরোধী দলনেতার
জাঠায় হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের। একমাসে আইনের শাসন না ফিরলে, আইনের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হবেন। বীরভূমের কোটাসুরের জনসভা থেকে হুঙ্কার দলনেতার। সকালে বীরভূম রওনা হওয়ার আগে টুইটে বিরোধী দলনেতা বলেন, শাসকের আক্রমণ এই আন্দোলন,লড়াইকে ভাঙতে পারবে না। তিনি চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, ধীরেন লেটকে যেখানে আক্রমণ করা হয়েছে সেখানেই মিছিল করা হবে।
ওয়েব ডেস্ক: জাঠায় হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের। একমাসে আইনের শাসন না ফিরলে, আইনের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হবেন। বীরভূমের কোটাসুরের জনসভা থেকে হুঙ্কার দলনেতার। সকালে বীরভূম রওনা হওয়ার আগে টুইটে বিরোধী দলনেতা বলেন, শাসকের আক্রমণ এই আন্দোলন,লড়াইকে ভাঙতে পারবে না। তিনি চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, ধীরেন লেটকে যেখানে আক্রমণ করা হয়েছে সেখানেই মিছিল করা হবে।
হামলার জবাব কঠোর প্রত্যাঘাতে। কোটাসুরের জনসভায় চড়াসুর বিরোধী দলনেতার। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এদিন বেনজিরভাবে আক্রমণাত্মক ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। "কান কেন, মাথা কেটে নিলেও বামেরা কখনও আত্মসমর্পণ করবে না।" ময়ূরেশ্বের বামেদের জাঠায় শাসকদলের হামলার প্রতিবাদে কোটাসুরের সভায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন সূর্যকান্ত মিশ্র। একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, "দুকান কাটা গেছে এই সরকারের।"
বীরভূমে বিরোধী দলনেতার হুঙ্কার সমাবেশে উজ্জীবিত রাজ্য বাম নেতৃত্বও। ষাটপশলায় জাঠায় হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোটাসুরের সভায় নজরকাড়া ভিড়। আলিমুদ্দিন মনে করছে উদ্দেশ্য সফল।
রাজ্যজুড়ে বাম জাঠায় হামলা। প্রবীণ বিধায়ক থেকে প্রাক্তন সাংসদ। এমনকি বিরোধী দলনেতা। কারও রেহাই নেই। মিছিল রুখতে কেন এত আগ্রাসন? বামেরা বলছে ভয়ের রাজনীতি। অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে শাসকদল।
ভয়ের রাজনীতি। কিন্তু কেন প্রয়োজন? নির্বাচনী পাটীগণিত তো বলছে, রাজ্যের শাসকদলের ভিত যথেষ্টই মজবুত। বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২০০র কাছাকাছি। লোকসভা ভোটে রাজ্যে রেকর্ড ৩৪টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। রাজ্যের ৯০ শতাংশ পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব। অধিকাংশ জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতও শাসকের রঙে সবুজ। অর্থাত্ বেশ শক্তপোক্ত জনভিত্তি। এমন শক্তিশালী কাঠামোর শাসকদল খামোখা বিরোধীদের ওপর বলপ্রয়োগ করতে যাবে কেন? কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটছে। বিরোধীদের দাবি, ভোটের ফল যাই হোক, বাস্তবের মাটিতে ক্রমশ জনসমর্থন হারাচ্ছে শাসকদল। সিন্ডিকেটের গুণ্ডামি, ব্যাপক দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার অভাব, পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষুব্ধ আমজনতা। এতে যোগ হয়েছে শাসকদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল।
প্রায় প্রতি জেলাতেই ছোট-বড় বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত শাসকদল বিভিন্ন তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ রোজকার ঘটনা। অবাধ ভোট হলে নাকি দলের মধ্যে থেকেই অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা। দাবি বিরোধীদের। এই কারণেই নাকি বিধানসভা ভোটের আগে আর ঝুঁকি নিতে চায় না শাসকদল। বিরোধীদের সংঘবদ্ধ হওয়ার যে কোনও চেষ্টাকে গোড়াতেই নির্মূল করতেই নাকি বাম জাঠায় হামলা। এই অভিযোগ অবশ্য সটান উড়িয়ে দিচ্ছে শাসকদল। দাবি, পাল্টাদাবি, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের বিরাম নেই। আর তারই মাঝে প্রতিদিন রাজ্যের নতুন কোনও এলাকা থেকে আসছে সংঘর্ষের খবর।