শিক্ষাঙ্গন রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত, বিশ্বভারতীতে আটকে মত স্বপনের
বুধবার বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপির সাংসদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনৈতিক দলের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার উচিত শিঙ্গাঙ্গন। বুধবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭ ঘণ্টা আটকে থাকার পর এমনটাই মত বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর। তাঁর কথায়, ''বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গত কয়েকদিন ধরে যা হচ্ছে, তাতে ভাবার সময় এসেছে রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষার অঙ্গ হিসাবে রাজনৈতিক চর্চা হতে পারে। কিন্ত রাজনীতি থেকে মুক্তি না পেলে বিষয়টি ভাববার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধে করব।'' এদিনই বিজেপির তরফে পুলিসের কাছে জমা দেওয়া হয় স্মারকলিপি।
বুধবারের ঘটনার পর আজও থমথমে বিশ্বভারতী। সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে আটকে রাখার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। স্মারকলিপি দেওয়া হয় বোলপুরের এসডিপিওকে। এদিকে বুধবারের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরেই তাঁরা মুক্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আসবেন দিন দুয়েক পর, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। স্বপনবাবু বলেন,''কালকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হস্তক্ষেপ না করলে আমরা উদ্ধার হতাম না। ভিতর থেকে জানতে পারি রড হাতে বহিরাগতরা ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছে।'' এদিন বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন।
বুধবার স্বপন দাশগুপ্তের সেমিনার ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে বিশ্বভারতীতে। তালা ভেঙে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র যুব সংগঠন। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঐতিহ্যের বিশ্বভারতী।বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল।
ধর্মঘটের সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয় গেটে সকাল থেকে জড়ো হয়েছিলেন SFI কর্মী-সমর্থকরা। মূল অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল। তালা ঝোলানো হয় লাইব্রেরি ও অন্যান্য বিভাগেও। পঠন পাঠন শিকেয় ওঠে। অফিসে এসেও ফিরতে হয় কর্মী-আধিকারিকদের। গরহাজির ছিলেন উপাচার্যও। আগুনে ঘি পড়ে স্বপন দাশগুপ্তের সেমিনার ঘিরে। লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে এদিন CAA -র সমর্থনে সেমিনার ছিল বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদের। বিক্ষোভকারী ছাত্ররা দাবি তোলে, কবিগুরুর স্মৃত্মিধন্য বিশ্বভারতীতে বিজেপির মতার্দশ চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। প্রেক্ষাগৃহের গেট বন্ধ করে ব্যানার লাগিয়ে শুরু হয় অবরোধ। সাংসদ ও উপাচার্যের নামে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। পরিস্থিতি ঘোরালো দেখে সেমিনারের জায়গা বদল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, লাভ হয়নি। ঘণ্টা সাতেক প্রেক্ষাগৃহের ভিতরেই আটকে পড়েন সাংসদ। চলতে থাকে বিক্ষোভ। গেটের বাইরে জড়ো হয় বিজেপি-তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত থাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
আরও পড়ুন- NRC, CAA ছিঃ, ছিঃ, ছিঃ, NRC, CAA ছিঃ, ছিঃ, ছিঃ, 'প্রতিবাদী' গান লিখলেন মমতা