আগামিকাল ফের অবস্থানে ট্যাক্সি চালকরা, আরও একবার দিনভর নাকাল হওয়ার পথে শহরবাসী
কাল ফের জমায়েতের ডাক দিল সিটু ও আইএনটিইউসি সমর্থিত ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া বাইশ জন ট্যাক্সি চালকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কাল জমায়েত ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে। জমায়েতে যাঁরা যোগ দেবেন তাঁরা ট্যাক্সি রাস্তায় নামাবনে না। বাকিরা যথারীতি ট্যাক্সি পথে নামাবেন।
কলকাতা: কাল ফের জমায়েতের ডাক দিল সিটু ও আইএনটিইউসি সমর্থিত ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া বাইশ জন ট্যাক্সি চালকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কাল জমায়েত ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে। জমায়েতে যাঁরা যোগ দেবেন তাঁরা ট্যাক্সি রাস্তায় নামাবনে না। বাকিরা যথারীতি ট্যাক্সি পথে নামাবেন।
পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে আজ আইন অমান্য কর্মসূচিতে সামিল হয় সিটু ও আইএনটিইউসি সমর্থিত ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। গ্রেফতার হওয়া বাইশ জন ট্যাক্সি চালকের মুক্তি ও ট্যাক্সিচালকদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি প্রত্যাহারের দাবিতে ছিল এই কর্মসূচি। দুপুরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে রাণি রাসমণি রোড পর্যন্ত মিছিল করেন ট্যাক্সি চালকেরা। এরপর রাণি রাসমনি রোডে আইন অমান্য কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনের নেতৃত্ব। তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস। পরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ট্যাক্সিচালকেরা।
চারদিনের মধ্যে দু-দুবার ট্যাক্সি ধর্মঘট। প্রথমটা ছিল পূর্বঘোষণা ছাড়াই। আজকের ধর্মঘট আগে থেকে ঘোষিত হলেও বদলায়নি দুর্ভোগের ছবি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সকাল থেকে কোথাও সেভাবে ট্যাক্সির দেখা মেলেনি। রেল স্টেশন, বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌছতে নাকাল হন মানুষজন।
গত বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত কোনও ঘোষণা ছাড়াই বেনজির ট্যাক্সি ধর্মঘটের সাক্ষী হয়েছিলেন মানুষজন। সোমবার ফের ডাক দেওয়া হয় ট্যাক্সি ধর্মঘট। ধর্মঘটের জেরে আরও একবার ভোগান্তির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।
সকাল থেকে শিয়ালদা স্টেশনের প্রিপেড বুথে কার্যত দেখা মেলেনি ট্যাক্সির। ভিনরাজ্য থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগী নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। স্টেশন থেকে হাসপাতালে পৌছতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁদের।
ট্যাক্সি অমিল। তাই শিয়ালদা স্টেশনে INTTUC কর্মীরা পরিবর্ত হিসেবে অটোতে উঠিয়ে দেন অনেককে। কিন্তু তাতেও কমেনি দুর্ভোগ । অভিযোগ, অটো চালকরা ভাড়া চেয়েছেন ট্যাক্সির রেট অনুযায়ী।
যাত্রীদের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে INTTUC। তাঁদের দাবি, কোথাও কোনও বাড়তি ভাড়া চাওয়া হয়নি।
হাওড়া স্টেশনেও ছিল একই ভোগান্তির ছবি।
গন্তব্যে পৌছতে নাকাল হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
যাত্রীদের অভিযোগ, হাতে গোনা ট্যাক্সির দেখা মিললেও চালকেরা ভাড়া চেয়েছেন খেয়ালখুশি মতো।