সরকারকে চরমসীমা দিয়ে প্রত্যাহৃত ট্যাক্সি ধর্মঘট
আটচল্লিশ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিল ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। মালিক পক্ষের সঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রীর বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। বৈঠক শেষে আপাতত ৬ এবং ৭ জুনের আটচল্লিশ ঘণ্টার তুলে নেওয়া নিয়েছে তারা।
আটচল্লিশ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিল ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। মালিক পক্ষের সঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রীর বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। বৈঠক শেষে আপাতত ৬ এবং ৭ জুনের আটচল্লিশ ঘণ্টার তুলে নেওয়া নিয়েছে তারা। তবে তাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখতে সরকারকে একমাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। নাহলে, আগামী জুলাই মাসে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে ট্যাক্সি সংগঠনগুলি।
মুলত ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আগামী ছয় ও সাত জুন ট্যাক্সি সংগঠনগুলি যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তা ঠেকাতেই ডাকা হয়েছিল সোমবারের বৈঠক। পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিভিন্ন ট্যাক্সি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। মদন মিত্রের আশ্বাস সত্ত্বেও, ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে ট্যাক্সি মালিক সংগঠনগুলি। এরপরই বিকেল চারটে নাগাদ নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে বিভিন্ন ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। ওই বৈঠকেই ধর্মঘট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মহাকরণে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাস মালিকদের সংগঠন। রাজ্য সরকারের কাছে বাসের ন্যূনতম ভাড়া পাঁচ টাকা করার দাবি জানায় তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আপাতত একমাস সময় চেয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। এই একমাসের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে রাস্তা থেকে বাস উঠিয়ে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন বাস মালিকরা।
এর আগে গত ৩০ মে এই ট্যাক্সিমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু সেই বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এদিনের বৈঠক। ট্যাক্সির মালিক এবং চালকদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয় বুধবারের বৈঠকে। এজন্য শহরে দশটি ট্যাক্সি বুধ, ট্যাক্সিতে বিজ্ঞাপন সহ একাধিক প্রকল্প চালু করার কথাও বলেন পরিবহণ মন্ত্রী। তবে তারপরেও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল ট্যাক্সি সংগঠনগুলি।